টেকনাফে আইস ও ইয়াবার বৃহৎ চালান উদ্ধার!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •


সীমান্ত প্রহরী টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা নাফনদ থেকে নৌকাভর্তী আইস ও ইয়াবার বৃহৎ চালান উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া মাদকের চালানটির সাথে জড়িত কোন কারবারীকে আটক করতে পারেনি তারা।

অভিযানের বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানানোর জন্য, ১৬ আগস্ট (বুধবার) দুপুরে ২ বিজিবি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে প্রেস ব্রিফিং করেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড কক্সবাজার জেলায় দায়িত্বরত রামু সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো.মেহেদী হোসাইন কবীর।

তিনি জানান,গোপন সংবাদের মাধ্যমে,টেকনাফ ২ বিজিবি জানতে পারে,নাফনদ দিয়ে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা মাদকের একটি বড় চালান টেকনাফ উপকুলে প্রবেশ করবে।

সেই তথ্য অনুযায়ী বিজিবির অভিযানিক দলের কয়েকটি গ্রুপ গত ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নাফনদ সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান নেয়।

এরপর নাফনদী লেদা সীমান্ত পয়েন্টে থাকা বিজিবি সদস্যরা দেখতে পায় মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আসা একটি কাঠের নৌকা বাংলাদেশ জলসীমা অতিক্রম করছে। এরপর নৌকাটিকে দাঁড়ানোর জন্য বিজিবি চ্যালেঞ্জ করে ধাওয়া করলে নৌকায় থাকা চোরাকারবারীরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে নাফনদীতে লাফ দিয়ে শূন্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়।

তাদের ফেলে যাওয়া নৌকাটি তল্লাশী করে ৬ টি প্লাষ্টিকের ব্যাগ দিয়ে মোড়ানো প্যাকেট উদ্ধার করে। উক্ত প্যাকেট গুলো থেকে ৫.২৬৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ ‘আইস’ এবং ৫ লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার কর্ণেল মো. জিল্লাল হোসেন,টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ ও উপ অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ লতিফুল বারী।

এদিকে সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সময়ে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা মাদক পাচার প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত জিরো ট্রলারেন্স এবং মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ মাদক বিরোধী চলমান অভিযান নিয়ে বেশ কয়েকটি গঠনমুলক প্রশ্ন তুলে ধরেন।

আরও খবর