টেকনাফে খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে হত্যা, দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক •

কক্সবাজারের টেকনাফে হা ডু ডু খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে হত্যার ঘটনায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৬ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৬০) ও শামসুদ্দিন।

একই মামলায় অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার আমান শরীফের ছেলে সোনা মিয়া ও একই ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালীর আবুল কালামের ছেলে কামাল উদ্দিন।

আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালের ২৬ এপ্রিল হা ডু ডু খেলা নিয়ে মামলার বাদী সুলতান আহমদের ছেলে শামসুল আলমের শ্যালক রবিউল আলমের সঙ্গে অভিযুক্তদের ভাই কামাল উদ্দিনের ঝগড়া হয়। এর সূত্র ধরে জাহাঙ্গীর আলম তার অপরাপর ভাইদের নিয়ে দা, ছুরিসহ রবিউল আলমকে ধাওয়া করে। এ সময় হৈ চৈ শুনে বাদীর ছেলে শামসুল আলম বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়ে যান। এসময় তারা শামসুল আলমকে প্রহার ও ছুরিকাঘাত করেন। আহত শামসুল আলমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে টেকনাফ থানায় ২৮ এপ্রিল মামলা হয়।

এরপর ২০০৫ সালের ১১ মে এ মামলার চার্জগঠন হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত ৬ আগস্ট এ মামলার রায় ঘোষণা করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সওকত বেলাল বলেন, শামসুদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। সার্বিক বিবেচনায় জাহাঙ্গীর ও শামসুদ্দিনকে যাবজ্জীন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এসময় উভয়কে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আরও খবর