এম.এ রাহাত, উখিয়া :
উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন ওয়ালাপালং বিটে বনাঞ্চল উজাড় করে বিশাল পাহাড় কেটে দালান, গরুর ফার্ম সহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত আছে। পাহাড় বিলীন হওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ।
সরজমিনে দেখা যায়, উখিয়ার ডিগলিয়া পালং চারোকাটির মাথা নামক স্টেশনে পাশেই বিশাল পাহাড় কেটে সমতল ভূমিতে পরিনত করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ডিগলিয়া পালং এলাকার মাওলানা ছাবের আহমদ ও একই এলাকার ফিরোজ আহমদ প্রকাশ ওয়াল্টন ফিরোজ তারা দুইজন বিশাল পাহাড়টি গরুর খামার করার জন্য সমতল ভূমিতে পরিনত করতেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, ফিরোজ ও ছাবের ঐ পাহাড় নিধন করে বহুতল ভবন নির্মাণ করার কথা রয়েছে। পাশাপাশি গরুর খামারও করবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ সনের ১ নং আইনে উল্লেখ আছে, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক সরকারী বা আধা-সরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন ও/বা মোচন করা যাবে না।
অথচ আইনকে তোয়াক্কা না করেই পাহাড় নিধনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে মাওলানা ছাবের ও ফিরোজ। এতে করে নীরব ভূমিকায় পরিবেশবাদী সংগঠন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মাওলানা ছাবেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে জানান। পাহাড় কাটতে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে স্থানীয় মেম্বারের কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। এছাড়া ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের সাথে কথা হয়েছে বলেও জানান ছাবের।
ওয়ালা বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হাসান উখিয়ার বাইরে অবস্থান করায় এব্যাপারে জানতে উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিটের স্টাপগণ ঐ জায়গায় কাজ চলাকালীন গিয়ে ফিরোজ ও ছাবেরের সাথে কথা বললে, তারা জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে দাবি করেন। তাদেরকে জমির কাগজপত্র নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হলেও তারা এখনো অফিসে আসেনি। এছাড়া প্রাথমিকভাবে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসেন সজীব বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-