টেকনাফ প্রতিনিধি •
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহৃত এনজিওকর্মী ও এক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপহরণ চক্রের সদস্য দুই রোহিঙ্গাকে।
গ্রেপ্তাররা হল- টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দ হোছনের ছেলে মো. সেলিম প্রকাশ ছলিম (৩৩) ও একই ক্যাম্পের রশিদ আহমদের ছেলে মো. জসিম (১৯)।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, জনতাকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড় চালানো অভিযানে অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার করা হয়। এসময় ১৮-২০ জনের অপহরণকারীর দলটির সদস্যরা দলছুট হয়ে পালানোর সময় দুই জনকে অস্ত্র ও গুলিসহ ধরে ফেলে পুলিশ ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তাদের কাছ থেকে দুটি এলজি ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
পরে ডাকাতদলের আস্তানা থেকে কার্তুজের খোসা, লোহার শিকল, হেসকো ব্লেড, হাতুড়ি, প্লাস, রেত, স্ক্রু ড্রাইভার, টর্চ লাইট, স্প্রে ক্যান, ইলাস্টিক, সিসার তৈরি জালের গুলতি (গুটি) এবং নীল রংয়ের কাপড়ের ব্যাগ উদ্ধার হয়।
এ ব্যাপারে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি উদ্ধার এবং অপহরণের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ২টার পরে উপজেলার হ্নীলার জাদিমোরা শালবাগান ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহরণ করা হয় এক এনজিওকর্মী ও এক রোহিঙ্গাকে।
তারা হলেন- টেকনাফের হ্নীলার জাদিমোর এলাকার মৃত তজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ হাসান (৫০) ও শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাকিম আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)। এর মধ্যে হাসান এনজিও ফোরাম নামের একটি সংস্থায় ক্যাম্পে পানি সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মী।
হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ের পাদদেশে মেশিনে পানির উঠানোর সময় হঠাৎ একদল অপহরণকারীরা তাদের দু’জনকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে দুই শতাধিক স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ে গিয়ে অপহরকারিদের আস্তানা খুঁজে পেয়েছি। তবে অপহরণকারীরা আমাদের দেখে গহীন পাহাড়ের ভেতর থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশও এসে অভিযানে যোগ দেয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-