উখিয়ায় মডেল ইউনিয়ন উপহার দিয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী : এমপি হবেন প্রত্যাশা স্থানীয়দের

এম ফেরদৌস, উখিয়া :


উখিয়ার বহুল আলোচিত রাজাপালং ইউনিয়ন থেকে বেড়ে উঠা এক ক্লিন ইমেইজের নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর রুপকার ও উন্নয়নে আওয়ামীলীগ সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে উখিয়া-টেকনাফে ব্যাপক সাড়া পেলেছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিটি ঘোষনা ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাজাপালং ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে কক্সবাজার জেলায় পরিচিত করেছেন।

যদিও এই ইউনিয়নটি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকার মধ্যে পড়েছে, তা সত্ত্বেও তিনি এই বিশাল জনপদে স্থানীয়দের সুযোগ সুবিধা অটল রেখে মানুষের সুখ দুঃখের ভাগ কাঁধে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন । যার কথা বলছিলাম তিনি হলেন, এতধাঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির শ্যালক, বর্তমান সাংসদ সদস্য ( এমপি) শাহীন আকতারের ভাই, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য হুমায়ুন কবির চৌধুরীর ছোট ভাই জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

তিনি রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের টানা ৩য় বারের চেয়ারম্যান, উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, এ ছাড়াও তিনি আগে এই উখিয়া উপজেলায় আওয়ামীলীগের অঙ্গ-সংগঠনেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

তিনি এই জনপদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ‘গ্রাম হবে শহর” বাস্তবায়নে গ্রামীণ অবকাঠামোর আমুল পরিবর্তন এনে দিয়েছেন। এক সময়ে যে গ্রামে পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হত সেখানে এখন পাকা সড়ক। প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করে আলোকিত করেছে অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকাগুলো।

জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর পিতা উখিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী ছিলেন এতধাঞ্চলে শিক্ষার প্রসার ঘটানো গুণি ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম একজন।
বাবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এই জননেতা শিক্ষা বিস্তারে রাখছেন অনন্য ভূমিকা, প্রতিষ্ঠা করেছেন অসংখ্য বিদ্যালয়। অভূতপূর্ব উন্নয়নে বদলে দিয়েছে প্রায় ৯০ হাজার জনসংখ্যার এই ইউনিয়নটি। পাশাপাশি পরিচিতি করেছেন আওয়ামীলীগ সরকার যে, এই দেশের কল্যানময়ী দেশপ্রেমীক সরকার এবং জনগনের নিরাপদ আশ্রয়গার সেটি।

জানা যায়, তিনি দীর্ঘ ৮ বছর বিভিন্ন ত্যাগ-তিতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে উখিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে তিনি সভাপতির পদে দায়িত্বভার কাঁধে নেন।

এক সময় বিএনপি অধ্যুষিত জনপদ হিসেবে পরিচিত থাকলেও তার অদম্য নেতৃত্বে আজ আওয়ামী লীগের ঘাটি তে পরিণত হয়েছে উখিয়ার এই সীমান্ত জনপদ।

আরো জানা যায়, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর ঘটনা ঘটে। সেদিন দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মৌলবাদী উগ্রপন্থীদের প্রতিহত করতে সীমান্ত জনপদের বৌদ্ধ মন্দির গুলো পাহাড়া দেন তিনি।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সহ হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের মানুষের কাছে তিনি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে জননন্দিত।

বিশ্ব স্বীকৃত রোহিঙ্গা মানবিক বিপর্যয়ে ত্রাণ বন্টন, আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি সহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রম করেন তিনি।

ফলশ্রুতিতে ডাক পান ২০১৮ সালের ৩০ জুন গণভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায়।

সীমান্ত ঘেষা উখিয়া-টেকনাফের অধিকাংশ মানুষেরা এখন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী’কে দেখতে চান মহান জাতীয় সংসদে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে।

তারা মনে করেন, জনসেবায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সৃজনশীল ও আধুনিক মননের নেতৃত্ব ধারণ করা এই ব্যক্তিত্ব অদম্য সাহসে অর্জন করেছেন সেই যোগ্যতা।

স্থানীয়দের প্রত্যাশা, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও জনপ্রতিনিধিত্ব করার মজবুত অভিজ্ঞতার কারণে আগামী নির্বাচনে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পেলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।

তাদের আশাবাদ দৃঢ় চিত্তের নেতৃত্ব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়ে স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে স্মার্ট উখিয়া-টেকনাফ বাস্তবায়নে জনপদটির আপমর জনতার চাওয়াকে পূরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও খবর