নিজস্ব প্রতিবেদক •
কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল/ভূয়া সনদ দিয়ে ২০ বছর ধরে চাকুরী করছেন সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে আলী হোসাইম নামের এক শিক্ষক।
এ বিষয়ে উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি/সম্পাদক বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করে প্রতিকার চেয়েছেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমান কর্মরত সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) আলী হোসাইন, ইনডেক্স নং-১০৫৭৭১। যার যোগদানের তারিখ ১৮ জুন ২০০৩ সাল। ব্যাংক হিসাব নং-১৩৯৯৪, রূপালী ব্যাংক লি:, কোটবাজার শাখা।
তিনি ২০০০ সালে সাবেক প্রধান শিক্ষক নুরুল আলমকে বড় অংকের উৎকোচের মাধ্যমে এসএসসি হতে ডিগ্রি ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সমস্ত ভূয়া সনদের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তিনি নিয়োগের তারিখ হতে স্কুল ফান্ড ও সরকারি এমপিও এর লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন পূর্বক সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করে আসছেন। বিদ্যালয় কমিটিতে পরিচালনা কমিটির নিজের লোক থাকায় তারা জেনে না জানার ভান করে আছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ আছে, আলী হোছাইনের নিয়োগ ২০০৩ সালে দেখানো হলেও প্রকৃত পক্ষে তিনি ২০০৭ সালে যোগদান করেন। এছাড়াও কোন প্রকার নিয়োগ ও বাছাই পরীক্ষা ছাড়া নিজ উদ্যোগে বাড়িতে রেজুলেশন বই ইচ্ছাকৃত তৈরি করে ২০১১ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: আবু মুছাকে দিয়ে এমপিও ভুক্তির জন্য ফাইল পাঠানো হয়। কিন্তু ব্যানবেইসে তিনি কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেও তার কোন কম্পিউটার সনদ ও কম্পিউটার বিষয়ে কোন দক্ষতা ছিল না বর্তমানে ও নেই। সে জাল সনদ দিয়ে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে দাবীদার।
অভিযোগে তিনি একজন ভুয়া শিক্ষক ও সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করায় তার বিরুদ্ধে বিশদভাবে তদন্ত পূর্বক অপসারণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়েছে ।
এ বিষয়ে পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেম মাহমুদ বলেন, কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে আলী হোসাইন নিয়োগ পেয়েছেন ২০০৩ সালে। সে থেকে চাকরি করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে আগে কখনো অভিযোগ উঠেনি। এখন যেহেতু অভিযোগ পেয়েছি আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো এবং সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-