গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •
কক্সবাজারে মাদক বিরোধী অভিযানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে র্যাব-১৫’এ কর্মরত সদস্যরা।
তারই ধারাবাহিকতায় র্যাবের একটি অভিযানিক দল টেকনাফের হ্নীলা ইউপি ৬নং ওয়ার্ড থেকে ২ লাখ ইয়াবার চালান উদ্ধার করার পাশাপাশি এক নারী মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাবের পাঠানো তথ্য দেখা যায়, ৫ জুন (সোমবার) সাড়ে ১২ টার দিকে র্যাব-১৫ সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্প শাখায় কর্মরত সদস্যরা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে হ্নীলা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর ডেইলপাড়া এলাকায় জনৈক লেডু মিয়ার বসত ঘরে ইয়াবার একটি বড় চালান বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে মওজুদ করেছে। উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী অভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযানে গেলে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে আভিযানিক দল আনোয়ারা বেগম নামে এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এসময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক বসত বাড়ীটি তল্লাশী করে ধৃত ব্যক্তির ঘরের খাটের নিচে প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর হতে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত দুই লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
ধৃত নারী হচ্ছে উক্ত ওয়ার্ড উত্তর ডেইল পাড়া এলাকার লেডু মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪৫)।
ধৃত মাদক ব্যবসায়ী র্যাবকে জানিয়েছে সে মাদক কারবারে জড়িত একটি সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্যা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে সে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পরস্পর মাদক ব্যবসায়ীদের যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে বড় বড় মাদকের চালান টেকনাফে নিয়ে আসে এবং নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে রাখে। পরবর্তীতে সল্প সময়ের মধ্যে কোটি টাকার মালিক হওয়ার জন্য টেকনাফ ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার চালান গুলো সরবরাহ করে থাকে।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-১৫ মিডিয়া কর্মকর্তা জানান,
ধৃত নারী মাদক ব্যবসায়ী র্যাবের আভিযানিক দলের নিকট মাদক তাদের চক্রের মূলহোতার নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করেছে। উক্ত মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করার জন্য র্যাবের অভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
ধৃত নারী কারবারী বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-