গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •
মাদক উৎপাদিত দেশ মিয়ানমারে মানুষ বন্ধক রেখে বাংলাদেশে মাদকের চালান নিয়ে আসা শীর্ষ কারবারী জকিরসহ দুই ইয়াবা আমদানী কারককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫ সদস্যরা।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার ইয়াবাও উদ্ধার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
১৭ মে (বুধবার) মধ্যরাতে কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃত ব্যাক্তিরা হচ্ছে, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন হাজমপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাকির আহমেদ প্রকাশ জকির ও তার সহযোগী মো. ইসমাইল।
সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব ১৫’র সিনিয়র সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আবু সালাম চৌধুরী প্রেস বার্তার মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মিদের জানান, গত ১৫ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জসিম নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে মিয়ানমারের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নির্যাতন করছে।
এমন একটি ভিডিও ফেইস বুকে ভাইরাল হয়।
ঐ ভিডিওতে নির্যাতনের জিম্মি দশা থেকে জসিম জানিয়েছিল টেকনাফ হাজম পাড়ার বাসিন্দা জকির নামে এক ইয়াবা কারবারি তাকে মিয়ানমারের ইয়াবা কারবারীদের কাছে বন্ধক রেখে ২৫ লাখ টাকা মুল্যমানের ইয়াবা বাংলাদেশে নিয়ে আসে। সেই ইয়াবা গুলোর টাকা সময় মত পরিশোধ না করায় মিয়ানমারের কারবারীরা জসিমকে শারীরিক নির্যাতন করছে।
ভিডিওটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে উক্ত অপরাধে জড়িত জকিরসহ তার সহযোগীরা আত্মগোপনে চলে যায়। বিষয়টি র্যাবের নজরে আসার পর র্যাব-১৫ কর্মরত গোয়েন্দা সদস্যরা তাদেরকে আইনের আওতাই নিয়ে আসার জন্য নজরদারি বৃদ্ধি করে।
অবশেষে র্যাব গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে জকির মিয়ানমার থেকে পাচার করে নিয়ে আসা ইয়াবার একটি চালান সাগর পথ দিয়ে মহেশখালী চৌফলদন্ডি ফিশিং ঘাট হয়ে রামু ঈদগাঁও এলাকায় পৌঁছবে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের অভিযানিক দল ঈদগাঁও আল মাছিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার মসজিদের সামনে অস্থায়ি চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা শুরু করলে হঠাৎ করে একটি সিএনজি অটোরিকশা থেকে নেমে দুজন লোক কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব তাদের ধাওয়া করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার ইয়াবাও উদ্ধার করা হয়।
ধৃত জকির ও তার সহযোগীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক র্যাব জানতে পারে, জকির দীর্ঘদিন ধরে অসহায় যুবকদের বেশী টাকার লোভে পেলে মিয়ানমারে পাঠিয়ে সেই দেশের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বন্ধক রেখে বড় বড় ইয়াবার চালান নিয়ে আসতো বাংলাদেশে। জকিরের বিরুদ্ধে টেকনাফে থানায় ৫টি মামলা রয়েছে।
ধৃত দুই কারবারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা আরো একটি দায়ের করে পরবর্তী কার্যক্রম শেষ করার জন্য টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-