চকরিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক •

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চকরিয়া থানার হাফালিয়াকাটা এলাকার নুরুল সওদাগরের ছেলে খাইরুল বশর ওরফে পুতু ও আমির হোসেনের ছেলে মো. সালাউদ্দিন।

শুক্রবার (৫ মে) রাত সাড়ে ১১টায় নগরীর পতেঙ্গা থানার ডেইলপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, গত ২৫ মে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামীম আল মামুনসহ একটি টিম পেকুয়া-বড়ইতলী রোডের শাপলা যুব সংঘ হাফালিয়াকাটা এলাকা থেকে রাত ১টায় রাকিব নামে এক যুবককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশ রাকিবকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় রাকিবের চিৎকার শুনে তার আত্মীয়-স্বজনরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। সেসময় রাকিবের হাতে থাকা কিরিচ দিয়ে মাসুম (নি.) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আহত করে। রাকিবের সহযোগীরা বাকি পুলিশ সদস্যদের কুপিয়ে একটি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত এসআই শামীম, কনস্টেবল তারিকুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ মামুনকে তাৎক্ষণিক চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তারা চমেক হাসপাতলে চিকিৎসাধীন।

পরে এ ঘটনা পুলিশ বাদী হয়ে ৩০ জনকে এজাহারনামীয় ও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর পুলিশ রাকিবকে ছিনতাই করা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। তবে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, এ ঘটনায় পলাতক আসামিদের ধরতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় পতেঙ্গার ডেইলপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যতম প্রধান আসামি খাইরুল বশর ওরফে পুতু এবং সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পূর্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও খবর