গৃহবধূর পেটে ৩২৪০ পিস ইয়াবা!

ডেস্ক রিপোর্ট •


কক্সবাজার থেকে পেটের ভেতর ইয়াবা নিয়ে নোয়াখালী যাওয়ার পথে সীমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় তার পেট থেকে তিন হাজার ২৪০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর ইয়ারপুর এলাকায় বাঁধন পরিবহনের বাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আসামি সীমা আক্তার টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়াপাড়া গ্রামের ফকির আহমদের মেয়ে ও ইসমাইল হোসেন ওরফে শাহ আলমের স্ত্রী বলে জানা গেছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে নোয়াখালী সদরের বিনোদপুর এলাকার উদ্দেশে একজন নারী আসছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ইয়ারপুর এলাকায় তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। এ সময় ফেনী থেকে মাইজদীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা বাঁধন পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালানো হয়। ওই বাস থেকে সীমা আক্তার নামে ওই নারীকে তার শিশু সন্তানসহ আটক করা হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও দেহে তল্লাশি চালিয়ে কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন তার পেটের মধ্যে ইয়াবা রয়েছে। পরবর্তীতে তাকে মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে এনে এক্সরের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসকের সহযোগিতায় ওষুধ সেবনের মাধ্যমে ৭২ প্যাকেটে ইয়াবা জব্দ করা হয়। প্রতি প্যাকেটে ৪৫ পিস করে মোট ৩ হাজার ২৪০ ইয়াবা পাওয়া গেছে।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সীমা আক্তার বিশেষ কায়দায় পেটের ভেতর করে টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। ইয়াবার এ চালানটি বিনোদপুরের এক ব্যবসায়ীর কাছে হস্তান্তর করতে তিনি নোয়াখালীতে আসেন। সীমা এবং বিনোদপুরের ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।

সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মাদক মামলায় মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে সীমা আক্তারকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

আরও খবর