গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •
টেকনাফে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের মুক্তিপণ না দিলে অপহৃত হওয়া ব্যক্তিদের উপর চলে নির্মম নির্যাতন।
তারই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ (রবিবার) বিকালে নিজের প্রান বাঁচাতে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদেরকে নগদ ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দিয়ে পরিবারের কাছে ফেরত আসে অপহৃত ৩ যুবক।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ দমদমিয়া এলাকা থেকে এই ৩ জন যুবককে অপহরন করেছিল সন্ত্রাসীরা। একই কায়দায় ১৯ মার্চ জাদিমুড়াস্থ জুম্মাপাড়ার একজন কৃষককে অপহরণ করেছিল এই সন্ত্রাসী চক্র। কৃষক ছৈয়দ উল্লাহ ৫ দিন পর ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে পরিবারের কাছে ফিরে আসে। অপহৃত তিন যুবক হচ্ছে রিদুয়ান সবুজ, মোস্তফা ও রহমত উল্লাহ।
তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর ব্যাপক মারদর নির্যাতন চালানোর পর নগদ ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা মুক্তিপন আদায় করে (রবিবার) বিকাল ৩ টার দিকে মুক্তি দেয়। পরিবারের কাছে ফেরত আসার পর তাদের শরীরে মারধরের গুরুতর জখম চিহ্ন চোখে পড়ে।
সন্ত্রাসীরা তাদেরকে মুক্তি না দেওয়ার আগে জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাদের পরিবার।
এদিকে প্রতিনিয়ত অপহরনের ঘটনা নিয়ে অত্র এলাকার সাধারন মানুষ গুলো চরম উৎকন্ঠায় ও আতংকের মধ্যে রয়েছে।
অপরদিকে এখবর সোস্যাল মিডিয়ায় বেশ চাউর হলেও এখনো টনক নড়েনি প্রশাসনের। তাদের উদ্ধারে প্রশাসনের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি বলে জানায় ভুক্তভোগী ভিকটিম’র পরিবার।
ঘটে যাওয়া উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.আলী স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠক করেছেন।
তিনি সম্মিলিত ভাবে দূর্বৃত্তের মোকাবেলা করার সাহস যোগান এবং রাতে পাহারা দেওয়ার জন্য ৪টি গ্রুপ তৈরী করে পাহারা দল গঠন করেছেন বলে গণমাধ্যম কর্মিদের জানান।
তিনি অভিমত প্রকাশ করে আরও বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বেশ কয়েকটি গ্রুপ পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে অবস্থান করে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করে তুলছে। তারা সুযোগ বুঝে যে কাউকে অপহরণ করে। এরপর তাদের ইচ্ছামত মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দিচ্ছে। তারা স্বশস্ত্র হওয়ায় ভয়ে এবং আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। তাদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবী জানান।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি।
অভিযোগ হাতে পেলে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য,গত ১৬ মার্চ উপজেলার বাহারছড়ার ইউপির জাহাজপুরা এলাকা থেকে ৭ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল।
তারা হলেন,কলেজ শিক্ষার্থী গিয়াস উদ্দিন (১৭), রশিদ আলম (২৬), জানে আলম, (৪৫),জাফর আলম (৪০),জাফরুল ইসলাম (৩০), ফজল করিম (৩০) ও আরিফ উল্লাহ (৩০) । তারা সকলেই বাহারছড়া ইউপির পূর্ব মাঠ পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-