উখিয়ায় ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক •

কক্সবাজারের উখিয়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্কাস এর উদ্যোগে স্কুল ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন মূলক ছয় মাসব্যাপী কারিগরি প্রশিক্ষণ শেষে ১৫০ প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়েছে।

২২ মার্চ (বুধবার) সকালে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) এর চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা।

এসময় সংস্থার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও প্রকল্পের প্রোগ্রাম অর্গাইনাইজার সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাজের পিছিয়ে পড়া ও ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের আত্মনির্ভরশীল করতে এসডিসির অর্থায়নে ব্র‍্যাকের কারিগরি সহযোগিতায় সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

এসময় সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) এর চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা বলেন, দক্ষ ট্রেইনার দিয়ে উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা, কোটবাজার, উখিয়া সদর এবং থাইংখালী সহ ৩ টি ব্র্যাঞ্চ মোট ১৫০ জন সুবিধ বঞ্চিত, স্কুল ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদেরকে গ্রাফিক্স ডিজাইন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং, মোটর সাইকেল মেকানিক, ফার্নিচারের কাজ এবং ট্রেইলারিং ট্রেড সহ মোট ৭টি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এই অদক্ষ ও বেকার জনগোষ্ঠীকে দক্ষ সম্পদে পরিণত করতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। তাই ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন শিক্ষায় সুযোগ প্রদান করা একটি যুগোপযোগী উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে শিক্ষাকে বহুমাত্রিক করার উদ্যোগ নিয়েছে নিয়েছেন। যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

তাই কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্কুল ঝরে পড়া ও যারা সাধারণ শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত না তারা এখন নিজেকে একজন দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে পারছে এবং এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কর্মের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন কেউ বেকার বসে থাকতে হবে না, ঘরের কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন উপার্জনমুখী পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারবে।

কোনো কাজের জন্য যে দক্ষতা প্রয়োজন, বাংলাদেশি অনেক তরুণদের মাঝে তা নেই। তাই চাহিদানুযায়ী দক্ষ কর্মী হতে এ প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।

সুতরাং এ কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আধুনিক বিশ্বে, বৈজ্ঞানিক যুগে, দক্ষতানির্ভর শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ঠিক কতটা। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকেই ঝরে পড়তে হয়, কিংবা কাঙ্খিত সাফল্য বঞ্চিত হতে হয় সঠিক দক্ষতার অভাবে। তাই ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও এ সত্য উপলব্ধি করে মেনে নিতে হবে যে, বর্তমান সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বাজারে দক্ষতা ছাড়া কোনোভাবেই টিকে থাকা যাবে না।

সর্বমহল যদি একই সাথে দক্ষতার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকার করে নিতে পারে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। পাশাপাশি দেশেও গড়ে উঠবে দক্ষ জনশক্তি, ফলে ঘুচে যাবে বেকারত্বের অভিশাপ।

স্কুল ঝরেপড়া ও অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান, যারা মাধ্যমিক শিক্ষাচক্রে অংশগ্রহণ করতে পারেনি তাদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেওয়াতে এসডিসি ও ব্র্যাককে ধন্যবাদ জানান তিনি।

আরও খবর