কক্সবাজারে ইয়াবাপাচার মামলায় চার আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজারে আট বছর আগে দায়ের ইয়াবাপাচার মামলায় চার আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

এসময় প্রত্যেক আসামিকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশও দেওয়া হয়।

সোমবার বিকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হল- টেকনাফ পৌরসভার নতুন পল্লান পাড়ার মৃত আব্দুল গনির ছেলে মীর আহমদ, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ উত্তর পাড়ার মৃত ছৈয়দুর রহমানের ছেলে মো. হাবিব উল্লাহ ও একই ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রীপাড়ার মৃত মোহাম্মদ হোসেনের শরীফ হোসেন এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর এলাকার গোলাম হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রফিক।

রায় ঘোষণার সময় আসামি মীর আহমদ ও শরীফ হোসেন আদালতে উপস্থিত থাকলেও অপর দুইজন পলাতক ছিলেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।

মামলার নথির বরাতে পিপি ফরিদুল বলেন, গত ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী বিকালে টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর দমদমিয়া এলাকায় দিয়ে জলযান যোগে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবরে তৎসময়ের র‍্যাব-৭ চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের আওতাধীন কক্সবাজার ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে মিয়ানমার দিক থেকে আসা সন্দেহজনক একটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পেয়ে র‍্যাব সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেন। এতে র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রলারটির চালক দ্রুত চালিয়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে ট্রলারটি আটকানো সম্ভব হয়।

” এসময় ট্রলারে থাকা ৪ জনকে র‍্যাব সদস্যরা আটক করে। পরে ট্রলারটি তল্লাশী চালিয়ে ইঞ্জিনরুমে তেলের ড্রামের সাথে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৩ লাখ ইয়াবা পাওয়া যায়। “

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, ” এ ঘটনায় পরদিন র‍্যাবের এক সদস্য বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে গত ২০১৭ সালের ২৩ মে মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) জমা দেন। এরপর গত ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারী আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর (চার্জগঠন) আদেশ দেন। “

ফরিদুল আলম বলেন, সোমবার মামলার রায় ঘোষণার দিনে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। এসময় জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সাজারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় মামলার দুই আসামি পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ অভিযান।

আরও খবর