রংপুর •
রংপুর নগরীর তাজহাট থানা এলাকার আশরতপুরের গোলজার আলী রিকশা চালাতেন। স্ত্রী রোকসানা বেগম কাজ করতেন বাসাবাড়িতে। এক সময়ে বস্তিতে বসবাস করা এ দম্পতি এখন কোটিপতি। তাঁদের আয়ের উৎস মাদক ব্যবসা।
জানা গেছে, ১৫ বছর ধরে মাদক ব্যবসা করছেন গোলজার-রোকসানা দম্পতি। হয়েছেন কয়েক কোটি টাকার মালিক। নগরীর ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৭০ শতক জমির প্লট কিনেছেন। ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে ২২ লাখ টাকার ওপর। কোটিপতি এই মাদক ব্যবসায়ী দম্পতিকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে রংপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তাঁদের বিরুদ্ধে বৈধ আয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁদের।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হেরোইন পাচার করে রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করতেন গোলজার আলী ও রোকসানা বেগম। তাঁদের লক্ষ্য ছিল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। তাঁরা মাদক বিক্রি করে অল্পদিনেই কোটিপতি হয়ে যান। তাঁদের বিরুদ্ধে ৯টি মাদকের মামলা রয়েছে। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক আলী আসলাম হোসেন জানান, গোলজার আলী ও রোকসানা বেগমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কিছু কাগজপত্র পাওয়া গেছে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁরা কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ৪২ শতক জায়গার সন্ধান মেলে। এ ছাড়া তাদের দুটি বহুতল ভবনের ভিত্তি দেওয়া বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। তাঁরা এসব সম্পদ আয়ের কোনো বৈধ নথিপত্র দেখাতে পারেননি। সব মাদক বিক্রির টাকায় গড়েছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-