উখিয়াকে সুইজারল্যান্ডের শহরের আদলে পরিণত করতে পাহাড় ও বন রক্ষা করতে হবে: ইউএনও

কক্সবাজার জার্নাল রিপোর্ট •

উখিয়াকে সুইজারল্যান্ডের শহরের আদলে পরিণত করতে পাহাড় ও বন রক্ষা করতে হবে। সংরক্ষিত বনভূমির বনায়ন ধ্বংস রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংসের পরিবর্তে বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করতে হবে। সামাজিক বনায়ন কোনোভাবে ধ্বংস করা যাবেনা। পাহাড় কাটার ফলে দিন দিন উখিয়ার পরিবেশ প্রকৃতি ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে রয়েছে। তাই সবাইকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব।

বৃহস্পতিবার(৯ মার্চ) বিকেলে রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কাটা ও বনায়ন ধ্বংস রোধকল্পে অনুষ্ঠিত এক সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির ইউএনও এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন,” সংরক্ষিত বনভূমিতে পাহাড় কাটা ও যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবুও দেখা যায় ডাম্পার আর ডাম্পার।

একসময় এ অঞ্চলে বেড়াতে আসলে পাহাড় আর পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখা যেতো। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ শখ করে পাহাড় পর্বতের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আসতো। কিন্তু এখন সম্পূর্ণ বিপরীত দৃশ্য। যেখানে পাহাড় থাকার কথা সেখানে সাবাড় করে মাটি কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। এ অঞ্চল দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। পাহাড় কাটার ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে রয়েছে। তার পাশাপাশি পাহাড় ধ্বসের শঙ্কা বরাবরই থেকেই যাচ্ছে। মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে পাহাড় কাটা বন্ধে সবাইকে সামাজিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।”

ইউএনও বলেন,” সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে পাহাড়ের উপর সুন্দর সুন্দর বাড়ি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু আমাদের এখানে সে সৌন্দর্য বৃদ্ধি না করে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। কেটে ফেলা হচ্ছে বন্য প্রজাতির বিভিন্ন গাছপালাও। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। তাই আগামীতে প্রজন্মকে বাঁচাতে, দেশের পরিবেশ প্রকৃতি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে সোচ্চার হতে হবে।”

উখিয়া উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ কর্তৃক আয়োজিত সচেতনতামূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ছৈয়দ হামজা,দোছড়ি বিট কর্মকর্তা রাকিব হোসেন, উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান সহ সিপিজি ও স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর