বিশেষ প্রতিবেদক •
যেকোনোভাবে আমাদের মিয়ানমারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। এখানে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রতিনিয়ত উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। মিয়ানমারে যেসব লোক কোনো সময় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ভিড়ার সাহস পেত না সেসব লোক ক্যাম্পে সাধারণ রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাচ্ছেতাই করছে। কথাগুলো
বলছিলেন রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার শাহ মুহাম্মদ। উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গতকাল আগুনে পুড়ে গেছে দুই হাজারের বেশি ঘর। এর মধ্যে বেশ কিছু দোকানপাটও রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর আক্ষেপ করে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগেও কক্সবাজারের উখিয়া ও বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একাধিকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ (সিনিয়র সহকারী সচিব) সরওয়ার কামাল জানান, আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজ শুরু করছি। কীভাবে আগুনের ঘটনা ঘটছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, ক’দিন যেতে না যেতেই কোনো না কোনো ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত অন্তত ৮টির বেশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
গত বছরের ৯ জানুয়ারি উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে যায় প্রায় ৬০০ ঘর। এর আগে ২ জানুয়ারি ২০ নং এক্সটেনশন ক্যাম্পের একটি বিশেষায়িত ৭০ শয্যার করোনা হাসপাতাল পুড়ে যায়। গত বছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ৬৫টি ও ২০২০ সালে ৮২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
২০২১ সালের ২২ মার্চে আলোচিত অগ্নিকাণ্ডে উখিয়ার কুতুপালং মেগা তিনটি ক্যাম্পে ১০ হাজার ঘর পুড়ে যায়। মারা যায় ১১ জন রোহিঙ্গা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-