গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •
টেকনাফে হঠাৎ ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে আতংক। উপজেলার অন্তর্গত সরকারী কার্যালয়সহ বেশ কয়েকটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে কোন ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এসময় যারা টের পেয়েছেন। তাদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভূমিকম্পটির কথা জানান দিয়েছেন। অনেকেই আল্লাহপাকের কাছে শুকুরিয়া আদায় করেছেন এর চেয়ে বড় ঝাঁকুনি কিংবা ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
২৫ ফেব্রুয়ারি(শনিবার) বিকেলে ৪.৩৯ মিনিটে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে টেকনাফ।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সেরভ টেকনাফ স্টেশনের কর্মকর্তা মুকুল কুমার নাথ কক্সবাজার জার্নালকে জানান, টেকনাফে বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্পের ঝাঁকুনির খবর এসেছে। আমাদের কাছে ক্ষয়ক্ষতি খবর এখনো আসেনি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিচ্ছি। এদিকে টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কেন্দ্রের কার্যালয়ে ফাটলের বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযো গমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া পৌরসভার কয়েকটি ঘর-বাড়ি ফাটলের খবর জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.দেলোয়ার হোসেন জানান, বিকেলে ঝাঁকুনি পেয়ে অফিসে থেকে তড়িঘড়িভাবে বেরিয়ে যায়। পরে এসে দেখি অফিসের কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এরপর নিশ্চিত হতে পারি ভূমিকম্পের বিষয়টি।
টেকনাফ পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. আলম বলেন, গত ৬-৭ বছরে কয়েটি ছোট ভূমিকম্প হয়েছিল। কিন্তু আজকের মতো বড় ধরনের ঝাঁকুনি অনুভূতি হয়নি। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আমার বাড়িতে সামন্য ফাটল দেখা দিয়েছে।
টেকনাফ পৌরসভা আ.লীগ’র সাধারন সম্পাদক মো.আলম বাহাদুর নিজস্ব ফেইস বুকে লিখেছেন তিনি এই ধরনের ভুমিকম্প জিবনে প্রথমবার অনুভব করেছে। এখানে অনেকেই অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করছে। ফলে ভূমিকম্পের মাত্রা তীব্র হলে ঝুঁকি মাত্রা বেশি থাকবে।
অন্যদিকে ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দারা ভয়-ভীতিতে ছিল বলে জানিয়েছেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জুবায়ের।
তিনি বলেন, ‘বিকেলে হঠাৎ ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে এখানকার লোকজন অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’
শনিবার বিকাল ৪টা ৩৯ মিনিটে এ ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে সাংবাদিকদের নিশ্চত করেন আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ২০ দশমিক ৯০ অক্ষাংশ এবং ৯২ দশমিক ৩৩ দ্রাঘিমাংশে ভূ-কম্পনটির উৎপত্তি হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৭৭ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এর ফলে ৪ দশমিক ১০ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে কক্সবাজারে।”
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-