পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তাররা পেশাদার ইয়াবা পাচারকারী; গাড়ির চালকের বেশে মাদক পাচার করে

পানির জারবাহী ভ্যানে ৫ কোটি টাকার ইয়াবা, চালকের কাছে পিস্তল

চট্টগ্রাম •

চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলায় পানির জারবাহী একটি ভ্যান থেকে দেড় লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ; চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করে পাওয়া গেছে একটি পিস্তল।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতী এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মো. ফরিদ মিয়া (২৫) নামের ওই গাড়ি চালক এবং তার সহকারী নূর হোসেন সবুজকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। পিস্তলের পাশাপাশি তাদের কাছে ৪০ রাউন্ড গুলিও ছিল।

পানির জার সরবরাহে নিয়োজিত ওই ভ্যানটি ইয়াবা পাচারে ব্যবহরা করা হচ্ছিল।

পানির জার সরবরাহে নিয়োজিত ওই ভ্যানটি ইয়াবা পাচারে ব্যবহরা করা হচ্ছিল।

পুলিশের ভাষ্য, তারা পেশাদার ইয়াবা পাচারকারী; গাড়ি চালকের বেশে মাদক পাচার করে। সে কারণেই পিস্তল সঙ্গে রাখে।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. কবীর আহম্মেদ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজার থেকে একটি ভ্যানে করে ঢাকায় ইয়াবা পাচারের তথ্য পান তারা। সেই তথ্যে লোহাগাড়া থানা পুলিশ সতর্ক অবস্থান নেয়।

“বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে থানা পুলিশের একটি দল চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ভ্যানটি আটকায়। পরে তল্লাশি করে ইয়াবা, অস্ত্র ও ‍গুলি উদ্ধার করা হয়।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ওই ভ্যানে চালকের আসনের পেছনে গাড়ির মূল কাঠামোর সঙ্গে কাঠ দিয়ে তৈরি একটি বক্সে ১৬টি পোটলা পাওয়া যায়। সেখানে মোট এক লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা ছিল।

লোহাগাড়া থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, ‘আরবি ট্রেডার্স’- এর একটি পানি সরবরাহকারী কোম্পানির ভ্যানে ওই ইয়াবা পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার সকালে সেটি পানি নিয়ে কক্সবাজারে গিয়েছিল। ফেরার পথে ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল।

“যে পিস্তলটি পাওয়া গেছে সেটি মূলত ইয়াবা পাহারার জন্য রাখা ছিল। পথে কোন বাধা পেলে সেটি ব্যবহার করত চালক। গ্রেপ্তার চালক ও সহকারী সংঘবদ্ধ মাদক পাচারকারী দলের সদস্য। ঢাকা মহানগরীতে তাদের সদস্যদের হাতে ইয়াবাগুলো পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।”

এ ঘটনায় লোহাগাড়া থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা হয়েছে; এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান আতিকুর।

আরও খবর