আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল •
কক্সবাজারের উখিয়ায় র্যাপিড একশ্যান ব্যাটালিয়ন র্যাব-১৫ ও ৮ এপিবিএন এর যৌথ অভিযানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আরসা’র (ARSA) সক্রিয় ছয় সদস্য গ্রেফতার করা হয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটের দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ ব্লক ই এর সাব ব্লক এম-১৮ তে এ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ক্যাম্প-১৮ এর ব্লক কে-১২ এর বাসিন্দা আমির হাকিমের পুত্র মোহাম্মদ আরব (২৪), ব্লক কে-৬ বাসিন্দা আবদুল মোতালেবের ছেলে মোহাম্মদ নূরু (৩১), ব্লক এফ-২৩ এর বাসিন্দা মো: ছালেহ পুত্র মোহাম্মদ ইউনুছ (৩৩), ব্লক এম-২৩ এর বাসিন্দা আবদুল গাফফারের ছেলে হারুন (২৮), ব্লক এম-১৯ এর বাসিন্দা মৃত আবু ছিদ্দিকের পুত্র হাফিজুল আমিন (২৫), ব্লক এম-১১ এর বাসিন্দা জাহিদ হোসেনের পুত্র মোঃ মীর কাশিম ওরফে হামিদ হোসেন (২২)।
র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) আবু সালাম চৌধুরী তাদের আটকের বিষয়টি ২৪ ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার) সন্ধ্যায় নিশ্চিত করে বলেন, র্যাব-১৫ ও ৮ এপিবিএন এর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে উখিয়ার পালংখালী ইউপিস্থ ময়নারঘোনা পুুলিশ ক্যাম্পের আওতাধীন এফডিএমএন ক্যাম্প-১৮ এর মূল ব্লক-ই এর এম-১৮ সাব ব্লকস্থ এফডিএমএন সদস্য আবুল ফয়েজ এর দোকানের সামনে পাকা সিঁড়ির উপর অস্ত্র-গুলি সহ কতিপয় দুষ্কৃতিকারী আরসার সক্রিয় সদস্য অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ ও ৮ এপিবিএন এর যৌথ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করলে দুষ্কৃতিকারীরা উপস্থিতি বুঝতে পালানোর চেষ্টা করলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসা’র সক্রিয় ছয় সদস্যদের আটক করা হয়।
এসময় তাদের দেহ তল্লাশি করে একটি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটারগান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের কর্মকর্তা আরও বলেন, আটক আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরস্পর যোগসাজসে অবৈধ দেশীয় অস্ত্র-গুলি দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং বিভিন্ন সুবিধাদি আদায়ের লক্ষে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার জন্য উল্লেখিত স্থানে অবস্থান করছিল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলিসহ আটক আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে উখিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-