ডেস্ক রিপোর্ট •
টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা কত টাকা পেলো তার হিসাব দিতে হবে। একইসঙ্গে এনজিওরা কত টাকা রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করে, আর কত টাকা বিতরণের সময় কর্তকর্তাদের পেছনে ব্যয় করে, সে হিসাব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘অভিযোগ আছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও উগ্রবাদীদের অর্থায়ন করে। এজন্য রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও’র ব্যয়ের হিসাব চাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যারা ফান্ডিং করে তাদের কাছে হিসাব চাওয়ার আমার এখতিয়ার নেই। সচেতনতার জন্য আমরা তাদের জানিয়েছি— যেসব টাকা দেওয়া হয় তার সঠিক ব্যবহার হলে সবাই উপকৃত হবে। ‘যে ফান্ড আসে সেটা ১২ লাখ দিয়ে ভাগ দিলে বের হয়ে আসে। এর মধ্য থেকে ২৫ শতাংশ তাদের (এনজিওগুলোর) বিভিন্ন ব্যয় রয়েছে সেটা বাদ দেন, তাহলে তো মূল কত টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটা বেরিয়ে যাবে।’ বাকি ৭৫ ভাগ টাকা রোহিঙ্গাদের কাজে ব্যয় হয় কিনা, সেটা তদন্ত করে দেখার জন্য হিসাব চাওয়া হয়েছে বলে জানান মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য কত টাকা আসলো, সেটা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখি। সেখানে একজন রোহিঙ্গা ১২ ডলার করে পায়। এরপর কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাদে কিছু খরচ করে কিনা। কারণ, অভিযোগ আসছে— সেটা তদন্ত করার জন্য এটা লাগবে। কারণ, অভিযোগ আছে তারা উগ্রবাদীদের অর্থায়ন করে। সেটা পরিষ্কার হওয়ার জন্য এটা লাগবে। আইনানুগভাবে যেটা সম্ভব, তাদের হিসাবপত্র জানতে চাওয়া।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-