কক্সবাজারে টমটম চালক হত্যাকান্ড চক্রের মূল আসামীরা আটক

ঈদগাঁও প্রতিনিধি •

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের মিয়াজী পাড়া এলাকার সুপারি বাগানে টমটম চালক মোরশেদ(২৫) হত্যাকান্ডের মূল আসামী ও টমটম ছিনতাই চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১৫।

গ্রেফতার কৃতরা হলো-ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মিয়াজী পাড়ার আব্দু শুক্কুর এর পুত্র মোরশেদ আলম(৩১) এবং কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড গুনারপাড়ার ছগির আহমদ এর পুত্র মোঃ শাহ আলম (৪২)।

রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮ টার সময় কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের মিয়াজী পাড়া এলাকার সুপারি বাগান থেকে টমটম চালক মোরশেদ আলম এর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের ধারনা ছিল জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশী কেউ শত্রুতা মূলকভাবে হত্যা করতে পারে এবং এই সংক্রান্তে কতিপয় ব্যক্তিকে বিবাদী করে ভিকটিমের পরিবার ঈদগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

কিন্তু র‌্যাব ১৫ ক্লুলেস এই হত্যা কান্ডের খবর পাওয়া মাত্র তদন্ত কার্যক্রম এবং গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে।

তদন্তের এক পর্যায়ে র‌্যাব-১৫ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হওয়ার সাথে সাথে আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন কৌশলাদি অবলম্বনসহ এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।

পরবর্তীতে র‌্যাব ১৫ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ১৮ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার সময় কক্সবাজার পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড উত্তর টেকপাড়া জনতার সড়কের বোরহান উদ্দিন এর ভাড়া বাসা হতে প্রধান আসামী মোরশেদ আলম(৩১)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং তার নিকট হতে ভিকটিম মোরশেদ এর ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি উদ্ধার করা হয়।

এসময় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে টমটম চালক মোরশেদ আলম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি আসামী মোরশেদ আলম স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অন্য সহযোগীদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে।

পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই তারিখ শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টায় কক্সবাজার সদর পিএমখালী ইউনিয়নের পশ্চিম মুহসিনিয়া পাড়া হতে মোঃ শাহ আলম (৪২) কে গ্রেফতার করে। এসময় মোরশেদ এর ছিনতাইকৃত টমটমটি (অটোরিকশা) উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, গ্রেফতারকৃত মোরশেদ আলম একজন অটো-রিকশা ছিনতাইকারী চক্রের দলনেতা। বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতারকৃত মোরশেদ ও তার সহযোগী ছিনতাই চক্রের সদস্যের মাধ্যমে কক্সবাজার শহর এবং আশপাশ এলাকার অটো-রিকশা ভাড়ার কথা বলে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করতঃ সর্বোস্ব লুটে নেয় এবং ছিনতাইকৃত অটোরিকশা অন্যত্র বিক্রি করে দেয়।

ঘটনার দিন খুনিরা এবং কতিপয় সহযোগীসহ ভিকটিম মোরশেদ আলমের অটো-রিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে হত্যা পূর্বক অটো-রিকশা ও ভিকটিমের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর হতে এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যায়।

র‌্যাব ১৫ আরও জানায়,গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও খবর