বিশেষ প্রতিবেদক •
কক্সবাজার উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে চারটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে।
এ সময় বাধা দেওয়ায় ট্রলার থেকে চার জেলেকে সাগরে ফেলে দিয়েছে দস্যুরা।
শুক্রবার মধ্যরাতে সাগরের উপকূলবর্তী ১৪ বিউ নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন অলি আহমদ, মো. আনিস, মো. জিয়া ও দেলোয়ার হোসেন। তারা ডাকাতির শিকার এফবি হাসান নামের মাছ ধরার ট্রলারের জেলে। ট্রলারটির মালিক সদর উপজেলার খুরুশকূলের মো. জকরিয়া।
আজ শনিবার ভুক্তভোগী ট্রলার মালিকদের বরাতে দেলোয়ার হোসেন বলেন, “এফবি হাসান ট্রলারটিতে মোট ১৯ জেলে ছিলেন। তারা মাছ, জালসহ সবকিছু লুট করে নেয়। ডাকাতদের বাধা দিলে তারা চার জেলেকে সাগরে ফেলে দেয়। পরে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিয়ে ট্রলারটি ইঞ্জিন বিকল করে ছেড়ে দেয়।”
বোট মালিক সমিতির নেতা বলেন, “এফবি হাসানের পর জলদস্যুরা কিছু দূরে মাছ ধরার আরও তিনটি ট্রলারে ডাকাতি করে। ওই ট্রলারগুলো থেকে মাছ, জালসহ মালামাল লুট করার পর ইঞ্জিন বিকল করে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। সাগরে ফেলে দেওয়া চার জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তিনটি জাহাজ সাগরে ভাসছে। শনিবার সকালে অন্য ট্রলারের সহায়তায় এফবি হাসানকে কক্সবাজার উপকূলে নিয়ে আসা হয়েছে।“
দেলোয়ার হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় সকালে এফবি হাসানের মালিক মো. জকরিয়া কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ জানায়, এলাকাটি তাদের আওতাধীন নয়।”
পরে সাংবাদিকরা কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম এবং উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে কথা বললে পুলিশের দুই কর্মকর্তাই বলেন, ঘটনাস্থল তাদের আওতাধীন নয়; এটি টেকনাফ থানার অধীন।
এ ব্যাপারে টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান টেকনাফের শামলাপুর উপকূলবর্তী সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনার ব্যাপারে থানা অবহিত নয় তবে ঘটনার ব্যাপারে তিনি খোঁজ-খবর নেবেন বলে জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-