কক্সবাজার প্রতিনিধি •
কক্সবাজারে কাজী পরিচয়ে প্রতারণার মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, সদরের ঝিলংজা মুহুরী পাড়ার জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবদুল খালেক (৩২) ও টেকনাফের হোয়াইক্যং ওরি আমগাছ তলা এলাকার বাসিন্দা আকতার কামাল নূরীর ছেলে রমিজ কামাল (২৭)।
বুধবার (৮ ফেব্রুযারী) দিবাগত রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরেরদিন বৃহস্পতিবার তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিঠুন সিংহ। তিনি জানান, কাজী পরিচয়ে আইন বহির্ভুতভাবে বিয়ে নিবন্ধনসহ নানা প্রতারণার অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে গত ১ ফেব্রুয়ারী থানায় মামলা করেন সাইফুল্লাহ কাসেমী। যার মামলা নং- ০২/৬৬।
তিনি কক্সবাজার পৌরসভার ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের কাজী এবং ঝিলংজা ইউনিয়নের অতিরিক্ত কাজী।
মামলার অপর ৩ আসামি হলেন, সদরের ঝিলংজা খরুলিয়া এলাকার বাঁচা মিয়ার ছেলে জহির উদ্দিন (৪৫), ঝিলংজা ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা পিয়ার মুহাম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫০) ও খুরুশকুল গাজীর ডেইল এলাকার মৃত মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে মনজুর আলম (৫৫)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ও আশেপাশের এলাকায় সরকারের অনুমোদন ছাড়াই বিবাহ নকল বালাম বই ও সীল তৈরি করে বাল্যবিয়েসহ নিকাহ নিবন্ধন করে আসছিল একটি চক্র। চক্রটি বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বাসা বাড়িতে গিয়ে গোপন বিয়ে পড়াতো। কাজী পরিচয় ও ঘটকালি করে হাতিয়ে নিতো মোটা অংক।
ইতোমধ্যে চক্রের ফাঁদে পড়ে ঠকেছে অনেক সহজ সরল মানুষ। ভেঙেছে বহু প্রবাসির সংসার। অভিযোগ রয়েছে, নিজ এলাকার বাইরে গিয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে বিবাহ নিবন্ধন করা হচ্ছে। কাজী নয়, এমন লোকও বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বাসা বাড়িতে গিয়ে গোপন বিয়ে পড়াচ্ছে। এতে প্রকৃত কাজীদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষও প্রতারিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, কাজী পরিচয়ে কেউ প্রতারণা করলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাতে আমাদের করার কিছু থাকে না। তিনি বলেন, নিবন্ধিত কোন কাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইন মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-