ফিরে দেখা ২০২২

টেকনাফ বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪শ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার: গ্রেপ্তার ৩২৯

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •


বাংলাদেশের সর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মাদক পাচার এখনো অব্যাহত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উক্ত এলাকা থেকে মাদক পাচার প্রতিরোধ করার জন্য যতই কঠোর হচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে এই অপকর্মে জড়িত ব্যাক্তিদের সংখ্যা।

তথ্য নিয়ে দেখা যায়, সদ্য বিদায় নেওয়া ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সীমান্ত প্রহরী টেকনাফ ২ বিজিবি সৈনিকরা টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে মাদক উৎপাদিত খ্যাত দেশ মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ৩৯৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা মূল্যমানের মরন নেশা ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ আইস,মদ,বিয়ার’র চালানসহ বিভিন্ন প্রকার চোরাইপণ্য উদ্ধার করেছিল।

মাদক বিরোধী এসব অভিযানে ৩২৯ জন মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছিল বিজিবি।

সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার (বিজিবিএম) জানান, গত এক বছরে উক্ত অভিযান গুলো চলাকালীন সময়ে ইয়াবা ৩৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪১পিস, ক্রিস্টাল মেথ আইস ৫৭কেজি,২৯৫৮ গ্রাম,গাঁজা ২২ কেজি, ১২৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৪৯৩৮ বোতল বিদেশী মদ,
১৩.৫৬৮ ক্যান বিয়ার,১৬৪.৮লিটার বাংলা মদ। ৪কোটি,৩৭ লাখ টাকা মুল্যের ৬৬.৯৭৭ স্বর্ণ, দেশীয় তৈরী বন্দুক ৪টি, কার্তুজ ১টি,কিরিচ ১টি উদ্ধার করেছে বিজিবির অভিযানিক দল। পাশাপাশি ১০কোটি, ৬৭লাখ,৫হাজার টাকার বিভিন্ন প্রকার চোরাইপণ্যও জব্দ করা হয়েছিল।

এই সমস্ত অভিযানে বিজিবি সদস্যরা বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেছে ৫১০টি,৩২৯ জন অপরাধীকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছিল। উক্ত মামলা গুলোতে জড়িত আরও ৫২ জন চোরা কারবারী পলাতক রয়েছে।

অধিনায়ক আরও বলেন, সীমান্ত নগরী টেকনাফ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা মরননেশা মাদক পাচার প্রতিরোধে আমাদের সৈনিকরা সদা প্রস্তুত রয়েছে।

পাশাপাশি টেকনাফ উপজেলাকে মাদক মুক্ত করতে হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গসহ অত্র এলাকার সচেতন ব্যাক্তিদেরকে যার যার অবস্থান থেকে কঠোর ভুমিকা পালন করতে হবে।

মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীদেরকে সামাজিক ভাবে ভয়কট করতে হবে বলেও জানান তিনি।###

আরও খবর