কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
র্থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজারে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোন অনুষ্ঠান না থাকলেও বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যই আগাম বুকিং হয়ে গেছে হোটেল-মোটেলের প্রায় ৭০ শতাংশ কক্ষ। এছাড়া এরই মধ্যে সমুদ্র সৈকতে ভিড় করছে লাখো পর্যটক। এদিকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ইংরেজী বর্ষ বিদায় ও বরণকে কেন্দ্র করে আনন্দ উদযাপনে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সমাগম ঘটে বিপুল পর্যটকের। প্রতিবছর থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজন হত খ্যাতনামা শিল্পীদের অংশগ্রহণে ওপেন কনসার্টসহ নানা অনুষ্ঠান। আর এসব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকত সমুদ্র সৈকত সহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো।
কিন্তু গত ৫-৬ বছর ধরে কথিত নিরাপত্তার অজুহাতে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোন ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই।এতে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে পর্যটক আগমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। প্রতিবছর হোটেল-মোটেলে ৮০-৯০ শতাংশ আগাম বুকিং হলেও এবছর কিছুটা কম। এদিকে এরই মধ্যে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে সমুদ্র সৈকতে। তারা প্রস্তুত নতুন বছর বরণে।
বেড়াতে আসা পর্যটক সাইমা সুলতানা জানান, এবারে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। এখানকার নিরাপত্তা নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। পুরাতন বছরের সব কষ্ট-দুঃখ সমুদ্রের পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করতে চান।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা ইকবাল হায়দার জানান, বন্ধুদের নিয়ে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে এসেছেন। জানান,তিনি প্রায়শ থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করেন কক্সবাজারে। কিন্তু গত ৫-৬ বছর ধরে বাড়তি কোন অনুষ্ঠান না থাকায় আগের মত আনন্দ হয়না। এরপরেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বর্ষবরণে বাড়তি আনন্দ।
থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোন অনুষ্ঠান না থাকলেও তারকামানের হোটেল-মোটেলগুলোতে সাজসজ্জার পাশাপাশি কনসার্ট ও রুম বুকিংয়ে বিশেষ ছাড়সহ নানা আয়োজন রয়েছে বলে জানান তারকা মানের হোটেলের ম্যানেজার মো: নাহিদ আল আমিন ও খান মোহাম্মদ জায়েদ।
কক্সবাজারের বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ি মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান জানান, উন্মুক্ত পর্যায়ে কোন অনুষ্ঠান আয়োজন না থাকায় এবার আশানুরূপ পর্যটক সমাগম না হতে পারে। তবে পর্যটকদের বরণে তাদের সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক গাজী মিজানুর রহমান জানান, থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজারে আগত বিপুল সংখ্যক পর্যটকের নিরাপত্তা ও হয়রানি রোধসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া গোসল করতে নামা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য লাইফ গার্ড সহ বীচ কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবেন।
কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলে পর্যটক ধারণ ক্ষমতা রয়েছে অন্তত সোয়া লাখের বেশী। সকলের প্রত্যাশা বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-