বার্তা পরিবেশক •
টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এনামুল হক মেম্বারের প্রতিষ্ঠিত শহীদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসায় বার্ষিক পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি শ্রেণিতে সর্বোচ্চ গ্রেট পেয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর ফলে নারীর শিক্ষার দূত হয়ে প্রতিষ্ঠা হওয়া এই বালিকা মাদ্রাসার প্রশংসা এখন মানুষের মানুষের মুখে।
মাদ্রাসার দাপ্তরিক সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ২৬জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৭জন, পঞ্চম শ্রেণীর ২০ জনের সবাই, ষষ্ট শ্রেণীর ২৩ জনের সবাই, সপ্তম শ্রেণীর ১৫ জনের সবাই, অষ্টম শ্রেণীর ১৩ জনের সবাই ভালো গ্রেটের ফলাফল করে নতুন শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে।
জানা গেছে, সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত বড় ভাই শহীদ আজিজুল হকের নামে ২০১৭ সালে নারী শিক্ষার অগ্রগতির লক্ষ্য নিয়ে শহীদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এনামুল হক মেম্বার। সেই থেকে নিজস্ব অর্থায়নের নিষ্ঠার সাথে এই মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছেন তিনি। মাদ্রাসার সার্বিক উন্নতির জন্য রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী দিয়ে দক্ষতার সাথে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হচ্ছে। এতে প্রতিবছর ভালো ফলাফল করে যাচ্ছে। তাই এলাকার লোকজন তাদের মেয়েদের এই মাদ্রাসায় ভর্তি করার আগ্রহ আরো বাড়িয়েছেন। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় ১৩৬জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে সম্পূর্ণ মহিলা শিক্ষিকা দ্বারা পাঠদান দেয়া হয়৷
নাজির পাড়ায় এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় এলাকার মানুষ মেম্বার এনামুল হককে অনেক সাধুবাদ জানান। তারা বলেন, এনাম মেম্বার এলাকার সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি নারী শিক্ষার উন্নয়নের যে উদ্যোগ নিয়েছেন তুলনাহীন।
এই প্রসঙ্গে এনাম মেম্বার বলেন, মূলত ২০১৫ সালে আমার ভাই শহীদ আজিজুল হককে টেকনাফ এর খুনি ছিদ্দিক ও প্রকাশ ব্লেক ছিদ্দিক হত্যা করার পরে উদ্বেগ নিয়েছিলাম আমার শহীদ ভাইয়ের নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করবোই। আল্লাহ আমার আশা পূরণ করেছেন। ২০১৭সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে উক্ত মাদ্রাসা নিয়মিত সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে।
এনামুল হক মেম্বার আরো বলেন, বিশ্বজুড়ে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও নারীর অগ্রযাত্রা দ্রুত গতিতে আগাচ্ছে। কিন্তু গ্রামের নারীরা এখনো সে হারাতে আগাতে পারছে না। সে বিষয়টি মাথায় রেখে শহীদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। হাঁটি পা পা করে অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে মাদ্রাসাটি আজ সফল হয়েছে। শিক্ষকের অক্লান্ত পরিশ্রম ছিলো প্রশংসনীয়। সেই সাথে অভিভাবকরাও অনেক সহযোগিতা করেছেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-