অনলাইন ডেস্ক
আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হচ্ছে ত্রিবার্ষিক এই সম্মেলন। এর মধ্য দিয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যাত্রা’ শুরু করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের এই জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে ঢল নেমেছে নেতাকর্মীদের।
কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করছেন। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও কালীমন্দির গেট দিয়ে প্রবেশ করছেন তারা।
এর আগে সকাল ৭টা থেকে সম্মেলনে ঢোকার গেট খুলে দেওয়া হয়।
সারাদেশে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অর্থ সাশ্রয়ের জন্য এবার এক দিন হবে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল সাড়ে ১০টায় এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধনের পর ২৫ মিনিটের একটি উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করা হবে। সেখানে তুলে ধরা হবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করবেন দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য দেবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে।
বিকাল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এ অধিবেশনে দলের সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। টানা দশমবারের মতো সভানেত্রী নির্বাচিত হবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সাধারণ সম্পাদকসহ বড় পদগুলোয় কোনো পরিবর্তনের আভাস আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছ থেকে মেলেনি। টানা দুই মেয়াদে দায়িত্বে থাকা ওবায়দুল কাদের হ্যাটট্রিক করে নতুন চমক সৃষ্টি করবেন নাকি অন্য কেউ আসছেন- তা গত রাত পর্যন্তও ছিল আলোচনার শীর্ষে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার রানিংমেট হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের থেকে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নতুন কেউ আসতে পারেন- এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সবকিছু নির্ভর করছে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার ওপর। কারণ কাউন্সিলররা সাধারণ সম্পাদকসহ নেতা নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব তাঁর ওপর ছেড়ে দেন। কাউন্সিল অধিবেশনে দলীয় সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও প্রেসিডিয়াম, সম্পাদকীয়, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য, স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যের অধিকাংশ নামই ঘোষণা করা হতে পারে আজ।
আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরা হবে। এ বিষয় সামনে রেখেই সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’।
দেশের বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর। সেই সম্মেলনে টানা নবমবারের মতো সভানেত্রী পদে শেখ হাসিনা ও দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। দলের গঠনতন্ত্রে তিন বছর পরপর সম্মেলন করার কথা রয়েছে। একমাত্র আওয়ামী লীগই বিগত কয়েকটি সম্মেলন সঠিক সময়ে করে আসছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-