বিশেষ প্রতিবেদক •
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারী দীর্ঘ ৬ বছর পর ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্টিত হচ্ছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। অনেকটা আনুষ্টানিকতা নির্ভর সম্মেলন হবে এমনটাই মনে করছেন সাধারণ নেতাকর্মীরা
তবে ৭ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশাল জনসভার পরে তেমন কোন বড় সমাবেশ না করাসহ জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে শুধুমাত্র কাউন্সিলর সহ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মেলন শেষ করার জন্য কেন্দ্রীয় নির্দেশনা আছে এমনটাই জানালেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
তবে মাঠে প্রচার প্রচারণা না থাকলেও ঢাকা কেন্দ্রীক জোর লবিং চলছে বলে জানান অনেকে। তবে একটি সুন্দর সম্মেলনের মধ্যদিয়ে সৎ এবং পরিচ্ছন্ন নেতারাই জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ নেতাকর্মীদের।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম বলেন, বহুল প্রত্যাশিত জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের জন্য আমরা প্রস্তুত। ইতিমধ্যে ৪০৬ জনের কাউন্সিলার তালিকা চুড়ান্ত হয়েছে।
তিনি জানান, প্রতি ১০ হাজার জনে একজন হিসাবে ২৮০, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য আছে ৭১ জন, এছাড়া প্রতি উপজেলা থেকে ৫ জন সে হিসাবে ৫৫ জন মোট ৪০৬ জন কাউন্সিলর। এছাড়া ডেলিগেট থাকবে প্রায় দেড় হাজার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন ৭ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফল জনসভার পরে আবার নতুন করে বেশি মানুষজন নিয়ে সম্মেলন না করে দলীয় নেতাকর্মী দিয়েই সম্মেলন শেষ করার জন্য কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা আছে।
যদিও দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যাশা ছিল ঘটা করেই হবে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন এতে আসবে নতুন নেতৃত্ব। তবে কয়েক বার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও বার বার পিছিয়ে সর্বশেষ কাল ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্টিত হচ্ছে বহুল কাংখিত জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পরে কাউন্সিল অধিবেশন ছাড়াই এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফাকে সভাপতি ও মুজিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
একই বছরের ১৩ অক্টোবর ৭১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর বর্তমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে সভাপতি সিরাজুল মোস্তফাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-