রোহিঙ্গাদের নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্রে সুশীল ও দাতারা

২০১৭ সালে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আসার পর পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো তাদের প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, আফগানিস্তানে মানবিক সংকটসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এ কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা তহবিলের পরিমাণও আগের চেয়ে কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমাজের উৎপাদনশীল অংশ করে গড়ে তুলতে তাদের দক্ষতা বিকাশে নজর দিতে হবে।

বুধবার ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট থেকে উত্তরণ: আমাদের কি কৌশলগত পরিবর্তন দরকার?’ শীর্ষক নীতি সংলাপে (পলিসি ডায়ালগ) এসব কথা বলেন বক্তারা।

ব্র্যাক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ যৌথভাবে রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে এই সংলাপের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রাসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আরও অর্থায়ন দরকার। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসংক্রান্ত ইস্যুতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চারটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।

এসব গবেষণাপত্রে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পরিবর্তিত চাহিদা, ২০২৩ সাল ও তার পরবর্তী সময়ে তাদের জন্য সম্ভাব্য জীবিকার মাধ্যম এবং এসব মোকাবিলায় অংশীদারদের ভূমিকা এবং অর্থের নতুন উৎসের অনুসন্ধানের বিষয়ে বলা হয়েছে।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, ‘আমাদের শরণার্থীদের জন্য একটি মধ্যমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করা উচিত। তবে একমাত্র সমাধান মিয়ানমারে তাদের টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান।

বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ সু জিন রি বলেন, ‘ষষ্ঠ বছরে এসে তহবিল হ্রাস পাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে হবে।’

সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন কানাডা হাইকমিশনের রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্সের হেড অব কো-অপারেশন বিবেক প্রকাশ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব শাব্বির আহমেদ চৌধুরী, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন পরিচালক ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেনস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মাকসুদ কামাল প্রমুখ।

আরও খবর