এম.এ রাহাত •
কক্সবাজারের উখিয়ার কোর্টবাজার দক্ষিণ স্টেশনে রাস্তার পাশে যত্রতত্র ময়লা, আবর্জনা, মুরগীর নাড়িভুড়ি সহ বিভিন্ন পঁচাগলা কাঁচামাল ফেলে নষ্ট করা হচ্ছে পরিবেশ। ফলে সৃষ্ট দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পথচারী, যাত্রীবাহী সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উখিয়ার কোর্টবাজার স্টেশনের দক্ষিণ পাশে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের সেঞ্চুরি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে কোর্টবাজার স্টেশন পর্যন্ত রাস্তার পূর্বপাশে সৃষ্টি হয়েছে ময়লার ভাগাড়। এসব ময়লার বিশ্রী দুর্গন্ধে আশপাশের এলাকা, পথচারী, যাত্রীবাহী জনসাধারণ, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
এছাড়া কোর্টবাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের মিম্বর ঘেষে বিশাল আকারের ময়লার স্তুুপে পরিণত হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইজারাদার, মসজিদ কমিটি, ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ সংশ্লিষ্ট কারো নজরে আসছে না। এই ময়লার স্তুুপের কারণে পথচারী ও মসজিদে আগত মুসল্লিদের দম বন্ধ হয়ে যায়।
সম্প্রতি ময়লা অব্যবস্থাপনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নানা রকম সমালোচনা করতে দেখাযায়। অনেকেই ক্ষোভও প্রকাশ করতে দেখাযায়।
রাজবির তারেক নামের এক ব্যাক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, কোর্টবাজার দক্ষিণ স্টেশনের পরেই সৃষ্টি হয়েছে নতুন পাবলিক ডাস্টবিন। দোকানের নোংরা বর্জ্য ফেলে বিগত কয়েক মাসের ব্যবধানে ময়লার ভাগার দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে! এ অবস্থায় জায়গাটির পাশ দিয়ে মানুষের যাতায়াত, গাড়ি চলাচলে তীব্র ব্যাঘাত ঘটছে! কবে হচ্ছে এর সমাধান?
ময়লা অব্যবস্থাপনা বিষয়ে উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জসিম আজাদ বলেন, কোর্টবাজার থেকে সরকার প্রতিবছর প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব পায়। এই বিশাল বাজারটি দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা বাজার ইজারাদার, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি বাজারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো কার্যক্রম নেন না। যার ফলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা উপায় না পেয়ে রাস্তার পাশেই ময়লার ভাগাড় সৃষ্টি করেছে। এতে পথচারী ও যাত্রীবাহী মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে কোর্টবাজারের ইজারাদার আব্দুল মাজেদ বলেন, কোর্টবাজারের কাঁচাবাজারের পিছনে শান্তির পুকুর নামে একটি পুকুর ছিলো। সেই পুকুরে সব বর্জ্য ফেলা হতো। এখন সেই পুকুর উপজেলা পরিষদ কর্তৃক লিজ নিয়ে পরিষ্কার করার পর সেই ময়লা তুলে আপাতত অস্থায়ীভাবে রাস্তার পাশে ফেলা হচ্ছে এবং এ জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ময়লা ফেলার জন্য স্থায়ী জায়গা নির্ধারণের আবেদন করা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হলে রাস্তার পাশ থেকে সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানান তিনি।
রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কোর্টবাজারে জাগয়া না থাকায় আমি ইউএনও মহোদয়ের কাছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার জায়গার জন্য আবেদন করেছি। যেটা এখনো চলমান আছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-