জেলা প্রতিনিধি •
কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়িতে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে কউক ও জেলা প্রশাসন পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে।
গতকাল ৩১ অক্টোবর কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়িতে অবৈধভাবে গজে উঠা আরো ২৬০টি দোকান ভেঙ্গে দেয়া হয়। এর আগে গত ১০ অক্টোবর ৪১৭টি দোকান উচ্ছেদের মধ্যে আপীলেট ডিভিশেন কর্তৃক ২৩৩টি দোকানকে নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয় গত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। ওই সময়টি শেষ হলে ওই দিনের ২৩৩টি অবৈধ দোকানসহ গতকাল ২৬০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান কউক কর্তৃক।
জানা গেছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট এবং লাবনী পয়েন্টে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ছোট-বড় ২৬০ টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
এ বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, গত ১০- অক্টোবর মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সমুদ্র সৈকতের ৪১৭ টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু মহামান্য আপীলেট ডিভিশন কর্তৃক ২৩৩ টি দোকানকে মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, তাই আজ ৩১ অক্টোবর মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে উক্ত ২৩৩টি দোকানসহ মোট ২৬০ টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে প্রথমেই সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তাই সমুদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদের মাধ্যমে সৈকতের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর/সংস্থার সমন্বয়ে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব (উপসচিব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর রাশেদ এর নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কক্সবাজার এর নির্দেশনায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-