শেখ রাসেল হত্যাকাণ্ড, প্রকৃতিও যেন কেঁপে উঠেছিল সেইরাতের বর্বরতায়!

ডেস্ক রিপোর্ট •

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সাথে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর)।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ উপলক্ষে সোমবার (১৭ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেইজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যার ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘রাসেলের সেই আকুতি ঢাকা পড়ে গেলো নরপিশাচের অট্টহাসি আর ব্রাশ-ফায়ারের শব্দে। মাথার খুলি উড়ে গেলো, চিরতরে কণ্ঠ থেমে গেলো শিশু রাসেলের। মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর, তার পাখির মতো অবুঝ শিশুটির শরীরেও অজস্র বুলেট গেঁথে দিলো দেশদ্রোহী ঘাতকচক্র।’

‘পৃথিবীর আর একটি শিশুরও যেনো এমন নির্মম মৃত্যু না হয়। নিরাপদে বেড়ে উঠুক দেশের প্রতিটি শিশু। রাসেলের রক্তস্নাত স্মৃতির বেদীতে গড়ে উঠুক একটি মানবিক বিশ্ব।’

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নোবেলজয়ী দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের ভক্ত। ছোট ছেলের নাম রাখা হয়েছিল ওই বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিকের নামানুসারেই। হয়তো স্বপ্ন ছিল তার ছোট ছেলেটাও বার্ট্রান্ড রাসেলের মতোই একদিন খ্যাতির শিখরে উঠবে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট সবকিছু তছনছ হয়ে যায়।

রাসেলের জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর মধ্যরাতে।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট রাতে একদল বেপরোয়া সৈন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে চরম বর্বরতায়। সেনা অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখতো যে শিশু রাসেল তার বুকে বুলেট ছুঁড়ে দিতে হাত কাঁপেনি আর্মিরই কোনো এক পাষণ্ড সদস্যের।

ছোট্ট রাসেল বাঁচার জন্য আকুতি জানিয়েছিল। অনুরোধ করছিল তাকে না মারার। কিন্তু রক্ত খেকো দানবেরা তার আবদার, অনুনয় কানে তোলেনি।

আরও খবর