কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ি থেকে ৪১৭ স্থাপনা উচ্ছেদ

কক্সবাজার জার্নাল ডটকম •


কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা এবং কলাতলী পয়েন্টের ৪১৭টি ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উচ্ছেদ পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছেন কউক সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর রাশেদ।

তিনি বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত উন্মুক্ত রাখতে যেকোন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ এবং নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ২০১১ সালে একটি আদেশ দেয় হাইকোর্ট। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৫ আগস্ট ১৪২ নম্বর কনটেম্প মামলায় (৬২৬ নাম্বার রিট মামলার) উচ্চ আদালতের আদেশ ১৯ অক্টোবরের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে হলফনামা আকারে দাখিল করতে বলা হয়। একই সাথে ব্যবসায়ীদের দায়ের করা রিট মামলা প্রত্যাহার করে নেয় আদালত। আদালতের আদেশের পর আর প্রতিবন্ধকতা না থাকায় সোমবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান, জেলা পুলিশ, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তৃপক্ষ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করার কোন সুযোগ নেই। উচ্ছেদের আগে দখলদারদের জানানো হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের পূণর্বাসনের বিষয়টি চিন্তায় নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, কক্সবাজারকে আধুনিক, আকর্ষণীয়, পরিকল্পিত এবং স্বাস্থ্যকর পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ধীরে ধীরে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। দখলদার যেই হোক না কেন কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।

আরও খবর