কক্সবাজারে জঙ্গি মামলার ৭ বছরের পলাতক আসামী গ্রেফতার

কক্সবাজার জার্নাল রিপোর্ট •

কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে একটি জঙ্গি মামলার আসামী মো. নুরুল আবছার হাওলাদার (৪০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।

৭ অক্টোবর কলাতলী সড়কের হোটেল মোটেল জোন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ধৃত যুবক সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের আক্কাছ আলী হাওলাদার ও হাছিনা বেগম দম্পত্তির ছেলে। তিনি ২০১৫ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও হাটহাজারী থানার দুটি মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী। এছাড়া আদালত থেকে তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে র্যাব সূত্র দাবী করেছে।

র্যাবের পাঠানো তথ্যমতে, আবছার সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সন্দেহভাজন কর্মকান্ডের জন্য পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়ে ১ মাস কারাভোগ শেষে জামিনে বের হয়। পরে তিনি শীর্ষস্থানীয় এক জঙ্গী নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় চট্টগ্রাম এলাকায় নবগঠিত জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেড এর সাথে যুক্ত হয়।

এরপর তিনি হাটহাজারীতে অবস্থিত মাদ্রাসাতু আবু বক্কর (রাঃ) এ রিক্রুট ট্রেনিং সেন্টারের হিসাবরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সাথে তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আনা নেওয়ার সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করতেন । পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষাসহ প্রশিক্ষণ ও অর্থ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট প্রেরণ করতো।

এরপরে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে হাটহাজারি ও বাঁশখালীতে তাদের গোপন আস্তানায় র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ ২৪ জনকে গ্রেফতার করে। তখন আবছার ঢাকায় অবস্থান করায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরে তিনি পালিয়ে পাশের দেশে আত্নগোপন করেন। সেখান থেকে শীর্ষস্থানীয় এক নেতার পরামর্শে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে যান। দীর্ঘ ৬ বছর বিদেশে অবস্থান করার পর বছর খানেক আগে তিনি দেশে ফিরে এসে ঢাকায় আত্মগোপন করেন।

বিদেশ থেকে দেশে আসার পর তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনায় আমির হামজা ব্রিগ্রেডকে পুনরায় সংগঠিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় তাঁর তৎপরতা শুরু করেন। এরই প্রেক্ষিতে কিছুদিন ধরে সে কক্সবাজারে অবস্থান করছিল।

র্যাব ১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো.বিল্লাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আরও খবর