টেকনাফে ৩৫ ঘন্টা পর অপহৃত কৃষক উদ্ধার: মুক্তি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •


টেকনাফে রোহিঙ্গা ডাকাত দলের হাতে অপহৃত হওয়া ১৮ বছর বয়সী পান চাষী আব্দুর রহমানকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

গত ৭ অক্টোবর (শুক্রবার) টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়ন পাহাড়ী এলাকা সংলগ্ন বড় ডেইল এলাকায় শফিক ও আব্দুর রহমান নামে দুই পান চাষী তাদের তৈরী করা পানের বরজে কাজ করতে যায়।

এরপর হঠাৎ করে গহীন পাহাড় থেকে নেমে আসা অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা ডাকাত দলের সদস্যরা পান চাষী আব্দুর রহমানকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার সময় তার সাথে থাকা পান চাষি শফিক বাধা প্রদান করে এবং শোর-চিৎকার করে।

এক পর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্যরা কৃষক শফিককে লক্ষ্য গুলি করলে সে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা কৃষক আব্দুর রহমানকে অপহরন করে পাহাড়ের দিকে চলে যায়।

সংঘটিত ঘটনার খবর পেয়ে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ কৃষক শফিককে উদ্ধার করে। সে এখন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাদ্বীন রয়েছে।

এদিকে অপহৃত কৃষককে ডাকাত দলের হাত থেকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশের অভিযানিক দল বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করার প্রক্রিয়া হাতে নেয়। তারেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল থেকে পুলিশের বেশ কয়েকটি চৌকষ দল গহীন পাহাড়ী এলাকা গুলোতে সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা শুরু করে।

অবশেষে দীর্ঘ ৩৫ ঘন্টার সাঁড়াশী অভিযানে ডাকাত দলের হাত থেকে কৃষক আব্দুর রহমানকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
সে অপহৃত ঐ এলাকার মোহাম্মদ উল্লাহ’র পুত্র।

অপহৃত যুবক উদ্ধার হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, অপহৃত যুবককে উদ্ধার করতে শুক্রবার সকাল থেকে পুলিশের বেশ কয়েকটি দল ডাকাত দলের অবস্থান চিহ্নিত করার পাহাড়ে সাঁড়াশী অভিযান অব্যাহত রাখে।

এক পর্যায়ে ৮ অক্টোবর(শনিবার) বিকাল ৫ টার দিকে ডাকাত দলের সদস্যরা অপহৃত যুবককে গহীন জঙ্গলের ভিতরে ছেড়ে দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ ও স্থানীয় জনতা পাহাড় থেকে কৃষক আব্দুর রহমানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক বড় ডেইল এলাকার স্থানীয় কয়েক জন ব্যাক্তির কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানাযায়, অপহৃত কৃষক আব্দুর রহমান’র পরিবার সদস্যরা ডাকাত দলকে মোটা অংকের মুক্তিপন দেওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছে।

সূত্র বলছে, ডাকাত দলের সাথে অপহৃত আব্দুর রহমান ও গুলিবিদ্ধ শফিক’র আগে থেকে মাদক, মানব পাচারসহ অত্র এলাকায় নানা প্রকার অপরাধ কর্মকান্ড লিপ্ত ছিল বলে মনে করছেন তারা। ঘটনার আসল রহস্য বের করে অপরাধীদের আইনের আওতাই নিয়ে আসার জন্য জোর দাবী জানান তারা।

আরও খবর