কক্সবাজারে আরও এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক •

মামলা তদন্তে গাফিলতি ও আদালতে ত্রুটিপূর্ণ অভিযোগপত্র দেওয়ায় কক্সবাজারে আরও এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন সদর থানার এসআই বিভাস কুমার সাহা।

গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী এ আদেশ দেন। এর আগে একই অভিযোগে আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কক্সবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আশেক ইলাহী শাহাজাহান নূরী জানান, একটি ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার অভিযোগপত্রে নানা ত্রুটি ও তদন্ত কর্মকর্তা বিভাস কুমার সাহার গাফিলতি ধরা পড়ায় আদালত এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের আদেশের কপি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ মে কক্সবাজার সদর থানার তৎকালীন এসআই সনৎ বড়ুয়া বাদী হয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার ও আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলার এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন কক্সবাজার পৌরসভার বিজিবি ক্যাম্প এলাকার এসএমপাড়া মো. নাছিরের ছেলে আবদুল গফুর (২২), একই এলাকার বড়পুকুর সংলগ্ন আবদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ তারেক (২২) ও লাইটহাউজ পাড়ার উপরের মসজিদের পাশের মৃত আবুল বশরের ছেলে মোহাম্মদ জাহেদ (২৩)।

পরে ২০২১ সালের ৪ মার্চ এই মামলাটি তদন্ত শেষে এজাহার নামীয় ৩ আসামিসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার এসআই বিভাস কুমার সাহা।

কক্সবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আশেক ইলাহী শাহাজাহান নূরী জানান, এজাহারে নাম নেই এই রকম ৩ জনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হলেও সাক্ষীরা ১৬১ ধারার জবানবন্দিতে এই তিন আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে কোনো বক্তব্য প্রদান করেননি। অভিযোগপত্র শুনানীকালে মামলা তদন্তে আরও নানা অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন আদালত। এরপর অভিযোগপত্র বিশ্লেষণ করে এজাহারনামীয় ৩ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন এবং বাকি আসামিদের অব্যাহতি প্রদান করেছেন আদালত।

কক্সবাজার সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভাস কুমার সাহা মামলা তদন্তে তার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিলো না বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার অব্যবহিত আগেই আমি কক্সবাজার সদর থানায় যোগদান করেছি। ফলে নতুন হিসেবে শহরের রাস্তাঘাট, মানুষজন ভালোভাবে চেনা জানা ছিল না। এ কারণে অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে।