টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল ‘হত্যা’ প্রসঙ্গে যা বললেন আইজিপি

অনলাইন ডেস্ক •

কাউন্সিলর একরামুল হকের ঘটনা আমার ব্যক্তিগত ক্যাপাসিটিতে ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি সব সময় আমাদের ওপর অর্পিত যে রাষ্ট্রীয়-সাংবিধানিক দায়িত্ব সেগুলো প্রতিপালন করার জন্য। আমাদের মেধা-শিক্ষা-অভিজ্ঞতা-দক্ষতা সেটার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করার। সেখানে যদি কোনো খামতি থাকে সেটা অন্য বিষয় কিন্তু চেষ্টা করেছি। এই ১২ বছরে যা কিছু ভালো কাজ হয়েছে তার কৃতিত্ব সরকার, প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের জনগণের। গত ১২ বছরে আমি পুলিশ কমিশনার ছিলাম, র‌্যাবের মহাপরিচালক ছিলাম, পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষ করছি। কোনো ব্যর্থতা থাকলে নিশ্চিতভাবে সেই ব্যর্থতা আমার। ব্যর্থতা থাকলে আমার, কারণ আমি রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেভাবে প্রতিপালন করতে পারিনি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কারো কাছেই জাদুরকাঠি নেই যে আমি সব কিছু অর্জন করে ফেলব। অর্জনের বিষয়টা হচ্ছে একটা প্রক্রিয়া এবং কখনো শেষ না হওয়া প্রক্রিয়া। অর্জনের প্রক্রিয়া কখনো থেমে থাকে না। সংগঠন হলো জীবন্ত বিষয় আর জীবন্ত বিষয়ে বৈশিষ্ট হলো ক্রমাগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়; তো সেখানে একবারে অর্জন করার কোনো কিছু নেই। যে মুহূর্তে অর্জন করবেন পর মুহূর্তে নতুন অর্জনের প্রশ্ন এসে যায়। আমার সময়ে অনেক কিছু অর্জন করেছি, অনেক কিছু অর্জনের চেষ্টা করেছি।

আপনি যখন র‌্যাবে ছিলেন তখন একটি মার্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল, একরামুলের ঘটনা, সেটা কি আপনাকে অনুতপ্ত করে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে ঘটনাটির কথা উল্লেখ করলেন এটা কিন্তু একটা লিগ্যাল বিষয়। লিগ্যাল বিষয়টা যদি অন্যায্য বা অনৈতিক এ ধরনের কিছু চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। এটা আমার ব্যক্তিগত ক্যাপাসিটিতে ঘটেনি। এটা ঘটেছে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে…আমার ফিল্ড লেভেলের লোকজন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনা ঘটার পরে যে ভদ্রলোক নিহত হয়েছেন তার সঙ্গে কিন্তু ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। এটা কিন্তু ব্যক্তিগত বিষয় না। এটা আমরা অনেকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করি এটা ব্যক্তিগত বিষয়। যারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন, যাদের সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে, অনেকের সঙ্গে তাদের পরিচয়ও নেই, চেনেও না। ফলে ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে নেওয়ার অ্যাপ্রোচটা বোধ হয় রাইট অ্যাপ্রোচ না।

আমাদের যারা দায়িত্ব পালন করেন, তারা সরকারি দায়িত্ব পালন করেন। আমাদের দেখা দায়িত্ব যে, আমাদের কোনো সহকর্মী ম্যানডেটের বাইরে গেছেন কি না। ম্যানডেটকে ওভারস্টেপ করেছেন কি না। যদি ওভারস্টেপ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটা হলো বিষয়।আমার কাছে তথ্য আছে, একাধিক তদন্ত হয়েছে। ম্যাজিস্টারিয়াল ইনকোয়ারি হয়েছে। আমি যখন চলে আসি তখন ইন্টারনাল ইনকোয়ারির আদেশ দিয়ে এসেছি। তদন্ত হয়নি এটা বলা ঠিক হবে না’, বলেন তিনি।

আরও খবর