বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু ও বাইশফাঁড়ি সীমান্তে বিরতিহীনভাবে গোলার আওয়াজ ভেসে আসছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় গোলার শব্দে স্থানীয়দের মাটির ঘরের দেয়ালে ফাটল ধরেছে।
এদিকে নতুন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোন গোলার প্রবেশ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেষে ধারাবাহিক যুদ্ধবিমান ও মর্টারশেলের উচ্চশব্দে আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে টহলরত এক বিজিবি সদস্য জানান, শনিবার সকাল ৭টার দিকে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান ৪০/৪১ সীমান্ত পিলার এলাকায় টহল দেয় এবং গোলা নিক্ষেপ করে। ঝুঁকি এড়াতে সাধারণ মানুষদের চলাচলে সতর্ক করা হয়েছে। জরুরি কাজ না থাকলে বাইরে ঘোরাফেরা করতে তাদের নিষেধ করা হয়েছে।
তুমব্রু বাজার ব্যবসায়ী বদিউল আলম ও আবদুল কাদের বলেন, প্রতিদিন নতুন নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে মিয়ানমার সীমান্তের পরিবেশ জটিল করছে। এতে তুমব্রু বাজার, কোনারপাড়া, মধ্যমপাড়া ও উত্তরপাড়ার বসতিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বাইশফাঁড়ি ও উত্তরপাড়া থেকে আসা এসএসসি পরীক্ষার্থী অংপ্রু তংচঙ্গা, আয়েশা বেগম ও শারমিন আক্তার বলেন, আমরা ভয়ে ভয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। রাতেও পড়ার সময় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া গোলার শব্দে সবাই আতঙ্কিত থাকি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু’র উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। এ ঘটনার পাঁচদিন পর (৩ সেপ্টেম্বর) ঘুমধুম এলাকায় দুটি গোলা পড়ে এবং ৯ সেপ্টেম্বর একে-৪৭ এর গুলি এসে পড়ে। তবে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাইন বিস্ফোরণ ও গুলি-মর্টার শেল নিক্ষেপে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেদিন রাতেই বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় তৈরি হওয়া বৈরি পরিস্থিতিকে কারণ উল্লেখ করে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র উখিয়ায় স্থানান্তর করে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-