টেকনাফ প্রতিনিধি •
কক্সবাজার-টেকনাফ আঞ্চলিক সড়কের বাস-অটোরিকশা (গ্যাস চালিত সিএনজি) মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার মালিক মোহাম্মদ জয়নাল (৩৬) ও চালক মোহাম্মাদ মামুন (২৫) নামে দুজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এসময় আরও তিনজন মারাত্মক আহত হয়েছে। হতাহতদের দ্রুত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা সকলেই উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
নিহত জয়নাল উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালীর মিনাবাজারের মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে এবং গাড়ির মালিক। অপরজন মামুন একই এলাকার রাহামুতুল্লাহ ছেলে এবং অটোরিকশার চালক।
বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজারের লাল মিয়ার ছেলে মো: আবছার (২৮) তার স্ত্রী জোবায়েদা (২৩) ও শামসুল আলমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮) ।
মুখোমুখি সংঘর্ষে মারাত্মক আহত দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা অটোরিকশা (সিএনজি) সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হোছাইন।
রোববার দুপুরে টেকনাফ- কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রত্যেক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, আজ দুপুরে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী “এ সালাম পরিবহন ও টেকনাফের হ্নীলা থেকে কক্সবাজার মুখি বাস ও অটো রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় লোকজন সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নাল ও মামুন নামে দুজন মারা যান।
হ্নীলা অটোরিকশা সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূরুল হোসাইন বলেন, অটোরিকশায় থাকা আহত যাত্রীরা সকলেই এক পরিবারের সদস্য। তারা উখিয়ার পালংখালীর গয়ালমরা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। নতুন গাড়ি কিনে চালকের পাশে বসে অটোরিকশা চালানো শিখছিলেন নিহত জয়নাল।
হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ পরিদর্শ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বাস ও অটোরিকশা দুটি জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসটির চালক ও সহকারী পালিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় দুজন মারা গেছে আরও তিনজন মারাত্মক আহত অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন।
নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-