শামীমুল ইসলাম ফয়সাল, উখিয়া:
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের দশ লাখেরও বেশী রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, আবাসনসহ একাধিক সেক্টরে কাজ করে দেশি বিদেশী দেঁড়শোরও বেশি সাহায্য সংস্থা।
এসব সংস্থায় নিয়োগে স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত বিবেচনায় চাকরীতে তাঁদের অগ্রাধিকারের নির্দেশনা থাকলেও বেশিরভাগ সংস্থা সেটি মানছেনা।
এসব সংস্থার বড় কর্তারা তাঁদের স্বজনদেরকে নিয়োগ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দারা।
উখিয়ার মোঃ নুরুল বশর, ২০১৯ সাল থেকে চাকরী করতেন একটি বিদেশি সংস্থায়, গত কয়েকমাস আগে ফান্ড সমস্যা দেখিয়ে তাঁকে চাকরী থেকে ছাঁটাই করা হয়, তবে আশ্বাস দেওয়া হয় কিছুদিন পর নতুন নিয়োগে আবারোও তাঁর চাকরী ফিরিয়ে দিবে, কিন্তু কিছুদিন পর দেখেন তাঁর পোস্টে একজন রোহিঙ্গাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নুরুল বশর আরও বলেন, এটা শুধু তাঁর সাথেই নয়, রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করা একাধিক সংস্থা এখন এটাই করছেন।
পালংখালীর আরেক তরুণের সাথে হয়, স্নাতকোত্তর শেষ করে ক্যাম্প ভিত্তিক একটা এনজিওতে মাসিক ২৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেন, বছর যেতে না যেতে তাঁকেও নানান সমস্যা দেখিয়ে ছাঁটাই করে সংস্থাটি, এখন বেকার, বার বার আবেদন করেও কাজ হচ্ছেনা বলে জানান এ তরুণ। এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাটাতারের ভিতরে থাকা স্থানীয়দের যাতায়াত সুবিধা ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যও করতে পারে না বলে জানান তারা।
উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় জনগোষ্টিদের ফসলি জমিতে রোহিঙ্গাদেরকে ঘর বেঁধে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোও কোনো সহায়তা পায়না বলে জানান স্থানীয় অধিকারকর্মীরা।
পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক রবিউল হোসাইন বলেন, স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের কারণে নানান সমস্যার মুখোমুখি, স্থানীয়দের ফসলি জমিতেই রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তেমন কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি।
তিনি আরও বলেন, কাটাতারের ভিতরে থাকা স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত হয়রানী হচ্ছে, অনেক সময় তাঁদেরকে বেইআইনীভাবে আটকেও রাখা হয়।
গত পাঁচ বছরে ক্যাম্প সংলগ্ন উখিয়ার অনেকেই নিজেদের চাষাবাদের জমি হারিয়েছেন, ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষয়ক্ষতিসহ নানান সংকট উত্তরণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী স্থানীয় অধিবাসীদের।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-