কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক •
তদন্তে গাফেলতি ও অবহেলা এবং আদালতে ত্রুটিপূর্ণ অভিযোগপত্র দেওয়ায় উখিয়া থানার সাবেক সাব- ইনস্পেক্টর ( এসআই) মো. ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বর্তমানে তিনি হবিগঞ্জ জেলা বানিয়াচং থানায় সাব ইনস্পেক্টর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মঙ্গলবার ( ৬ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে একটি ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার অভিযোগপত্রে নানা ত্রুটি দেখে কক্সবাজার চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী ওই আদেশ দেন। আদেশের কপিটি বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিচালকের (আইজিপি) কাছে পাঠানো হয়েছে।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর উখিয়া থানার তৎকালীন এসআই নুরুল হক বাদী হয়ে একই উপজেলার হলদিয়া পালং ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের রুমখাঁর মৌলভী পাড়ার তোফায়েল আহমেদের ছেলে মো. মনির (২৭) কে আটক দেখিয়ে অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জনের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি প্রস্তুমি মামলা করে। পরে উখিয়া থানার এসআই মো. ফারুক হোসেন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর আদালতে এজাহার নামীয় আসামী সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগ শুনানীকালে আদালতের পর্যবেক্ষণ মতে, এজাহারে নাম না থাকা সত্ত্বেও যে ২ জনকে অভিযোগপত্রে আসামী করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীরা ১৬১ ধারার জবানবন্দিতে কোন বক্তব্য তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট প্রদান করেননি। এমনকি ওই ২ জনের নামও সাক্ষীরা তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট প্রকাশ করেননি। তাছাড়া সাক্ষী আলহাজ্ব মো. শাহাজাহানের নাম রেকর্ডকৃত জবানবন্দীতে মো. শামসুল আলম বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আদালত অভিযোগপত্রে ও তদন্তে আরো অন্যান্য ত্রুটি লক্ষ্য করেন।
পর্যাবেক্ষণে আরো রয়েছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে চরম অবহেলা ও গাফিলতি প্রদর্শন করেছেন। তিনি কেন এবং কীভাবে সন্দিদ্ধ ২ জন আসামীকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্তি করেছেন তা আদালতের নিকট বোধগম্য হয়নি। তদন্তকারী কর্মকর্তার এ ধরণের কার্যক্রম কাম্য নয়। তার এ ধরণের অবহেলা, ত্রুটি ও বিচ্যুতির বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসা আবশ্যক মনে করেছেন আদালত।
এবিষয়ে কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আশেক ইলাহী শাহাজাহান নূরী বলেন, অভিযোগপত্র বিশ্লেষণ করে আদালত এজাহারনামীয় ৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করলেও বাকি আসামীদেরকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন।
তিনি আরো বলেন, তদন্তে গাফলতি, অবেহেলা এবং নানা ত্রুটিতে ভরপুর অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ফারুক হোসেনেরর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী। আদেশের কপি আইজিপিকে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমার উর্ধত্বণ কর্তৃপক্ষ আমাকে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে আমি সেইভাবেই প্রতিবেদন তৈরি করেছি। আর সেই প্রতিবেদন আমার সিনিয়রগন দেখেই অগ্রগতি করেছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-