ইমরান আল মাহমুদ:
‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি,নিরাপদ সমাজ সমাজ গড়ি’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং,রত্নাপালং,হলদিয়া পালং ও জালিয়াপালং ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাদক, জঙ্গিবাদ, মানব পাচার, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, সাইবার ক্রাইম সহ সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে বুধবার (৩১ আগস্ট) দিনব্যাপী চার ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১ ঘটিকায় রাজা পালং ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী সহ অন্যান্যরা।
সভায় জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, অনেক এনজিওর গাড়ির ড্রাইভার মাদক নিয়ে ধরা খাচ্ছে, রাজাপালংয়ের ৩টি ওয়ার্ড মাদকের দিকে ঝুঁকে আছে। মোবাইলে জুয়া খেলার আসরে প্রতিদিন একেক এলাকায় গিয়ে পুলিশ টহল দিলে অপরাধ কমবে। ফিশিং বোট দিয়ে মানব পাচার হয়েছিলো, এখন মানব পাচার কিন্তু জিরো টলারেন্সে বন্ধ বললেও চলে।
৪নং ওয়ার্ডের মো. ইদ্রিস বলেন,আমাদের এলাকা সীমান্ত এলাকা, এলাকায় মাদক কারবারিরা জেলে গিয়ে কয়েকদিন পর জামিন নিয়ে আবার চলে আসে। এবং মাদক কারবারিদের ব্যাপারে তথ্য দিলে, তাদেরকে উল্টো মাদক দিয়ে ধরিয়ে দিবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হলে মাদক পাচার অনেকটা হ্রাস পাবে।
একইদিন দুপুরে রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত সভায় চেয়ারম্যান নুরুল হুদা বলেন,উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের আনাচে কানাচে সমস্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেক এলাকার অপরাধের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন,কয়েকদিন আগে রত্নাপালং ইউনিয়নের জাফর পল্লান পাড়ায় ঢাকা থেকে একজন লোক ইয়াবা কিনতে আসে। এক মহিলাকে দুই লাখ টাকা দিয়ে ইয়াবা পাচার করে বলে খবর পায়। এ মহিলা ও পাচারকারীকে খুঁজে বের করার জন্য এলাকার সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদকের সাথে কোনো আপোষ নেই। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা।”
বিট পুলিশিং সভায় ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন,”পুলিশের কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধ মাদক,জঙ্গিবাদ,বাল্যবিবাহ,মানবপাচার,সাইবার ক্রাইম রোধে পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং কার্যক্রম কে আরও শক্তিশালী করে সমাজ থেকে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য থানা পুলিশের এসআই নিয়মিত অফিস করবেন। জনগণের তথ্যের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সেজন্য জনগণের সহযোগিতা অবশ্যই দরকার। আপনারা তথ্য দিয়ে নিজের এলাকাকে অপরাধ থেকে দূরে রাখুন।”
বিকেলে হলদিয়া পালং ইউনিয়নের অনুষ্ঠিত সভায় চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী ও জালিয়াপালং ইউনিয়নে চেয়ারম্যান এসএম ছৈয়দ আলম,ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওলিউর সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-