পর্দা হচ্ছে কাপড়ের তৈরি আবরণ বা আচ্ছাদন। পর্দা বলতে অন্তরাল বা গোপনীয়তাকেও বোঝায়। ইসলামে পর্দা সালাতের মতো ইবাদত। পর্দাপালন আল্লাহর নির্দেশ। সুতরাং বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদের, তোমার কন্যাদের আর মুমিন নারীদের বলে দাও- তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের ওপর টেনে দেয় (যখন তারা বাড়ির বাইরে যায়)। এতে তাদের চেনা সহজতর হবে এবং তাদের উত্ত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা আহজাব: ৫৯)
পর্দা প্রকৃতার্থে নারীর ভূষণ। নারীর অলঙ্কার— যাকে সাজসজ্জা বা সৌন্দর্য বলা হয়েছে। পর্দা নারীর, পরিবার, সমাজ ও জাতির সুরক্ষা দূর্গ। যে সমাজ ও রাষ্ট্রের নারীরা পর্দানশিন হবে, সে সমাজ ও রাষ্ট্রের লোকেরা বিপদাপদ থেকে সুরক্ষিত থাকবে। ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, ‘যে সমাজ বা রাষ্ট্রে চার শ্রেণির লোক থাকবে, সে সমাজ বা রাষ্ট্রের লোকেরা আসমানি বিপদাপদ থেকে সুরক্ষিত থাকবে। এক. ন্যায়বান নেতা; যে অত্যাচার করে না। দুই. সত্য ধারণকারী আলেম। তিন. শায়েখ-মাশায়েখ; যারা সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ করে এবং মানুষকে ইলমে দীন অন্বেষণ ও কোরআন শিক্ষার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করে। চার. তাদের নারী বা স্ত্রীরা—যারা পর্দায় আবৃত থাকে এবং প্রাচীন জাহেলি যুগের মতো নিজেদের প্রর্দশন করে বেড়ায় না।’ (আল জামি লি আহকামিল কোরআন : ৪/৪৯)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা মুসলিম নারীদের প্রাচীন জাহেলি যুগের নারীদের মতো খোলামেলা চলাফেরা করতে নিষেধ করেছেন।আল্লাহ বলেন,
‘আর তোমরা নিজেদের গৃহে অবস্থান কর, প্রাচীন অজ্ঞতার যুগের মতো চোখ ঝলসানো প্রদর্শনী করে বেড়িয়ো না। আর তোমরা সালাত প্রতিষ্ঠা কর, জাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য কর। হে নবীর পরিবার! আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদের পবিত্র ও নিষ্কলঙ্ক করতে।’ (সুরা আহজাব: ৩৩)
কাজেই আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্রকে আল্লাহর গজব থেকে হেফাজত করার জন্য মা-বোন, মেয়ে এবং স্ত্রীদের পর্দার ব্যাপারে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-