কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
প্রতিবছর ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্মগ্রহণ করছে। এর ফলে বাড়ছে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা। এই জনসংখ্যা রোধ ঠেকানোর জন্য ক্যাম্পে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য জাতিসংঘকে অনুরোধ করা হয়েছে।
রবিবার (২১ আগস্ট) রোহিঙ্গা বিষয়ক টাস্কফোর্সের ৩৯তম সভা শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব। বৈঠকে সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির প্রতিনিধি ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন।
সচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছি। তারা শিগগিরই কাজ শুরু করবে। একটি পলিসি ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে। সেটি যাতে দ্রুত গৃহীত হয় সে বিষয়ে তাগিদ দিয়েছি।
প্রতি বছর ৩০ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে। এর ফলে মোট জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
নতুন শিশু জন্ম নেওয়ার ফলে কতজন রোহিঙ্গা দাঁড়ালো জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমরা সাধারণভাবে বলি ১১ লাখ রোহিঙ্গা। কিন্তু ৩০ হাজার শিশু প্রতি বছর হিসাবে করলে চার বছরে এক লাখ ২০ হাজার বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখা।’এবছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কোনও সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। মিয়ানমার থেকে একটি তালিকা আসবে, এরপরে ছোট একটি দল রাখাইনে সফর করার কথা সেখানকার পরিস্থিতি দেখার জন্য। মোট কথা সেখানে সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়েছে কিনা, সেটি রাখাইনে গিয়ে দেখা। এখন আমরা তৃতীয় পক্ষ থেকে বিষয়গুলো জানছি।
কিছুই হলো না বলে হতাশ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ’হতাশ হলে তো সবই শেষ। আমাদের চেষ্টা করতে হবে। কারণ এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বোঝা। আরও বেশি চেষ্টা করতে হবে রোহিঙ্গা যুবকদের জন্য। তারা যদি হতাশ হয়ে পড়ে, তাহলে বিভিন্ন ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আমরা আশাবাদী এ বছরের শেষে বা তার আগে হয়তো প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারবো।
বাংলা ট্রিবিউন
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-