কক্সবাজার প্রতিনিধি •
দু’দিনে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে অর্ধশতাধিক মৃত জেলিফিশ। ভেসে আসা প্রতিটি জেলিফিশের ওজন ১০-১৫ কেজি।
মৎসবিজ্ঞানীরা বলছেন, জেলিফিশ প্রাণঘাতী না হলেও সমুদ্রসৈকতে পড়ে থাকা মরা এসব প্রাণীর সংস্পর্শে গেলে মানুষের শরীরে চুলকানিসহ নানা সমস্যা হতে পারে।
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে এসে বালুতে আটকে পড়ে এসব জেলিফিশ। পরে কক্সবাজার সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ জেলিফিশের নমুনা সংগ্রহ করেন।
তিনি জানান, মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় গত ২৩ জুলাই থেকে মাছ ধরার সব ট্রলার সাগরে নেমেছে। অন্যান্য মাছের মতো বঙ্গোপসাগরে জেলিফিশেরও প্রজনন বেড়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জেলিফিশগুলো জেলেদের জালে আটকে পড়ে মারা গেছে। এখন জোয়ারের পানিতে ভেসে আসছে, তবে বিপুলসংখ্যক জেলিফিশ মৃত্যুর পেছনে সমুদ্রদূষণ কিংবা অন্য কোনো কারণ আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গেছে, কক্সবাজারের কলাতলী সৈকতের উত্তরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী এবং টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে মরা জেলিফিশ ভেসে আসছে। এরমধ্যে কিছু জেলিফিশ কুকুর খেয়ে ফেলছে, কিছু বালুর নিচে চাপা পড়ছে। অনেক জেলিফিশ বালুচরে পড়ে আছে।
এদিকে, জেলিফিশের সংস্পর্শে ঝুঁকি প্রসঙ্গে মৎসবিজ্ঞানীরা বলেন, প্রাণঘাতী না হলেও সমুদ্রসৈকতে পড়ে থাকা মরা জেলিফিশের সংস্পর্শে গেলে মানুষের শরীরে চুলকানিসহ নানা সমস্যা হতে পারে। সমুদ্রে একাধিক প্রজাতির জেলিফিশ আছে। ভেসে আসা জেলিফিশগুলো বক্স প্রজাতির। নামের সঙ্গে ফিশ থাকলেও জেলিফিশ কোনো মাছ নয়। নির্দিষ্ট সময়ের পর এসব জেলিফিশ জোয়ার-ভাটায় মিলিয়ে যায়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-