উখিয়ায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়: হুমকির মুখে পরিবেশ

এম,এস রানা,  কক্সবাজার জার্নাল •


কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন জায়গায় চলছে পাহাড় কাটার হিড়িক। এতে বাদ যাচ্ছেনা সামাজিক বনায়নের পাহাড়ও। দেশে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে আইন থাকলেও উখিয়ায় তার কার্যকারিতা নেই। রহস্যজনক কারনে নিরব বনবিভাগ।কিছু কিছু ক্ষেত্রে বনবিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই করেই চলছে সামাজিক বনায়ানের পাহাড় কাটা ও মাটি বিক্রি করা।

প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসব পাহাড় কেটে শ্রেণী পরিবর্তন করে জবরদখলের মাধ্যমে প্লট বানিয়ে তা বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।কিন্ত বনবিভাগের কর্তাব্যাক্তিরা যেন অসহায় এসব প্রভাবশালীদের কাছে।

সূত্র জানায়, কয়েকটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট শুধুমাত্র পাহাড় কেটে বনবিভাগের শ্রেনী পরিবর্তন করে সরকারী বনভুমি প্লট আকারে বিত্রিুর প্রতিযোগিতা থেকে বাদ যাচ্ছে না মানুষের মরার পর শেষ আশ্রয়স্থল কবরস্থান পর্যন্ত।

প্রভাবশালীরা সরকারি বনভূমির পাহাড় থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট মাটি কেটে ট্রাক ও ডাম্পার যোগে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিক্রয় করে দিচ্ছে।

বিশেষ করে উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পূর্ব মরিচ্যার এলাকায় পাহাড়গুলোতেও পড়েছে ভূমি খোকোদের থাবা। তার থেকে বাদ পড়ছেনা কবরস্থানও। পাহাড় কাটা বন্ধে ও কবর রক্ষায় ইউএনও বরাবর অভিযোগও দায়ের করেছেন এলাকাবাসী।

সূত্রে জানায় , ওই এলাকার ফরিদ আলম ও আব্বুইয়া যোগসাজসে সিন্ডিকেট করে কবরস্থানের মাটি ও ৪টি কবরসহ কেটে শতশত ডাম্পার গাড়ী মাটি পাচার করে রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে। নিজস্ব ফায়দা লুটতে পাহাড়ের মাটি কেটে বিক্রি, এসব পাহাড়গুলোকে নির্বিচারে বিলীন করে দিচ্ছে। সকাল থেকে রাত সমান তালে চলে পাহাড় কাটার কাজ। তবে বেশিরভাগ সময়ে নিঝুম রাতে চলে তাদের পাহাড় কাটার ধুম এবং ওই জায়গা নিজেদের দাবি করতে রাতারাতি রোপন করে কলাগাছ লাগিয়ে ভিটায় পরিণত করেছে। কিন্তু তাদের এ অপকর্মে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করতে আসে।

স্থানীয় মুরব্বি বাদশা মিয়া (৬৪) জানান সরকারি পিএফ জমির উপর গড়ে উঠা কবরস্থানটি শত বছরের পুরানো এই কবরস্থানে আমাদের বাপদাদার কবর রয়েছে এবং এলাকার একমাত্র প্রাচীনতম কবরস্থান এই কবরস্থানটি বেদখল হয়ে গেলে এলাকার মানুষ মারা গেলে মাটি দেয়ার জায়গা থাকবেনা।

পৃথিবীর লোহ দন্ড বলা হয় পাহাড়কে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় যার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এর উপর ভর করেই প্রকৃতি তার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অথচ এক শ্রেনির ভুমিদস্যুরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সেই পাহাড় গুলো কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। অবিলম্বে এসব মাটি খেকো সিন্ডিকেট কে আইনের আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল।

আরও খবর