আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল :
জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর অর্থায়নে উখিয়ায় নির্মিত বিশেষায়িত হাসপাতালটি গতকাল মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বেলা ১২টায় উদ্বোধন করা হয়েছে।।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতি মন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বহুমুখী সুবিধা সম্বলিত এ বিশেষায়িত হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ১০ ডিভিশন রামু সেনা নিবাসের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আজহার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকমিরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারশাহ রেজওয়ান হায়াত, কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সুফিয়ান, উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ।
এ সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মো. শামশু দৌজা, কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহবুবুর রহমান, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন সজিব, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রঞ্জন বড়ুয়া রাজন ৮ এপিবিএন পুলিশের কমান্ডিং অফিসার পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল শাকিল আহমেদ, দাতা সংস্থা জাপান ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, উখিয়া কলেজের দক্ষিণ পাশে এক একর জমির উপর ইউএনএইচসিআর বিশেষায়িত এ হাসপাতালটি নির্মাণ করেছে। স্থানীয় নাগরিক এবং রোহিঙ্গা উভয়েই এই হাসপাতালে প্রায় বিনামূল্যে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবেন।
বিশেষায়িত হাসপাতালটি পরিচালনার বিষয়ে গত ৩০ জুন ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রিপক্ষীয় এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সমঝোতা স্মারকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান এনডিসি এবং ইউএনএইচসিআর এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাউ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এ হাসপাতালে মধ্যম পর্যায়ে অসুস্থ ও গুরুতর অসুস্থ রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এই বিশেষায়িত হাসপাতালটি কাজ করবে। বহিরাগত রোগীদের পরিষেবা প্রদান, যেমন-সার্জারি, ট্রমা কেয়ার, চক্ষু ও দাঁতের যত্ন, ফিজিওথেরাপি এবং উপশমকারী চিকিৎসা সেবার জন্য এই হাসপাতালে সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও ২৪ঘন্টা/৭দিন সার্বক্ষনিক জরুরী ইউনিট, অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি এবং ডায়াগনস্টিক সুবিধা রয়েছে এই বিশেষায়িত হাসপাতালে।
সমঝোতা স্মারক অনুসারে, হাসপাতালটি তৈরি করতে, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করতে এবং কর্মীদের প্রাথমিক খরচ প্রদানে অবদান রাখবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
এছাড়া এই হাসপাতালের চিকিৎসা ও প্রশাসনিক সুবিধা প্রদানে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বেসরকারি সংস্থা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল এবং অরবিস। এই বিশেষায়িত হাসপাতালে ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, স্বাস্থ্য কর্মী, টেকনিশিয়ান সহ শতাধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-