চকরিয়ায় গরুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে খামারীরা

রাজু দাশ, চকরিয়া •


কক্সবাজারের চকরিয়ায় পবিত্র উল-আযহারকে সামনে রেখে গরুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারীরা। গরু মোটাতাজাকরণে কৃত্রিম পন্থা অবলম্বন খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সকলেই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার ব্যবহার করছেন।

নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন হাট বাজারে সরবরাহ করছেন কোরবানীর গরু। তবে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং গতবার লাভ কিছুটা কম হাওয়ায় এবার খামারে গরু পালন কমেছে। যদিও এবারও গরু-মহিষের দাম তুলনামূলকভাবে বেশী থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার (৪ জুলাই ) উপজেলার এগ্রো ফার্ম গুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরের কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে ফার্ম গুলোতে তোলা হয়েছে সঠিক ওজনের নিশ্চয়তা, দামে সাশ্রয়ী, ঝামেলা মুক্ত পরিবেশে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের উন্নতমানের দেশী- বিদেশী জাতের গরু ও মহিষ। যারা জায়গার অভাবে পশু কেনার পর ঈদ পর্যন্ত লালন-পালন করতে পারবে না তাদের জন্য এই ফার্ম গুলোতে লালন-পালনের সুযোগ সুবিধাও রয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, ১৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১৪শ’ ৩২ টি খামার রয়েছে। এসব খামারে ৬২ হাজার ৯০২টির মত গরু রয়েছে। এর পাশাপাশি স্থানীয়ভাবেও কৃষকরা কোরবানির উদ্দেশ্যে বিক্রির জন্য গরু-ছাগল পালন করছেন।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পশুর যত্ন নিচ্ছেন খামারিরা। পশুগুলোকে রাখা হয়েছে শুষ্ক জায়গায়। ঘরের ভেতরে রয়েছে ফ্যান। খাওয়ানো হচ্ছে ঘাস, খড়, ভুসি ও খৈলসহ দেশীয় খাবার। গরু মোটাতাজাকরণে কোনো প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য খাওয়ানো হচ্ছে না বলে দাবি খামারিদের।

সাহাবিল ইউনিয়নে রাইসা মৎস্য এগ্রো ফার্মের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ আলাউদ্দিন জানান, আমরা গরুর খাবারের ব্যাপারে অত্যন্ত যত্নশীল। এখানে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাওয়াচ্ছেন। বিচালী, ছোলা, খৈল, চালের কুড়াসহ অন্যান্য দেশীয় খাবার দিয়ে দেশীয় প্রযুক্তিতে গরু পালন করা হচ্ছে। তবে ভারত থেকে পশু আমদানী না করা হলে কাঙ্খিত মুল্য পাবেন বলেও আশাবাদ তিনি।

তিনি আরও জানান, তার খামারে ২৫টি গরু প্রস্তুত, আর কয়েকদিন পর এগুলো জেলাসহ বিভিন্ন হাটে পাঠানো হবে। এসব গরুর আলাদা চাহিদা রয়েছে জানিয়ে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তিনি।

চকরিয়া পেকুয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকতা ডাঃ আসাদুজ্জামান দৈনিক রূপসীগ্রামকে জানান, গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালন করতে খরচ বেড়েছে। তাই একটু ভালো দামের আশা করছি গরু খামার ব্যবসায়ীরা।

কিন্তু কোরবানির ঈদ সামনে রেখে খামারিরা যাতে গরুকে ক্ষতিকারক কোনো ওষুধ বা ট্যাবলেট না খাওয়ায়, সে বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করছে আমাদের কর্মীরা।###

আরও খবর