হুমায়ুন কবির জুশান,উখিয়া •
উখিয়া সদর নুর হোটেল ও তাজ-বে রেস্তোরা সংলগ্ন বড়ুয়া পাড়া রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটির কারণে চলাচলে মারাত্নক দুর্ভোগ ও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন এলাকাবাসি।
বহুতল ভবনের মালিক অনদশী বড়ুয়া নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তার ওপর বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার ও খুঁটি স্থাপন করেন।
উক্ত বৈদ্যুতিক খুঁটি প্রথমে রাস্তার দক্ষিণ পার্শ্বে স্থাপন করা হলেও কৃষি অফিসারের বাঁধার মুখে তা সরিয়ে বর্তমানে চলালের রাস্তায় ও জনৈক ছালেহা আক্তারের ভবনের পাশে নিয়ে আসা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ছালেহা আক্তার বলেন, আমার ভবনটি এখনো অসম্পূর্ণ। এই খুঁটির কারণে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে। উক্ত ভবনের ভাড়া দিয়ে আমার পরিবারের ভরণপোষণ, ছেলেদের লেখাপড়ার খরচ ও ব্যাংক কর্জের টাকা পরিশোধ করে আসছি।
তাই আমার ভবনের পাশে রাস্তার ওপর থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরিয়ে ফেলতে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ ব্যাপারে উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, রাস্তার ওপর খুঁটি স্থাপনের বিষয়টি আমি জানতে পেরে জনস্বার্থে ঠিকাদারকে কাজ না করতে বলে দিয়েছি। এখনো বৈদ্যুতিক তার টানা অসম্পূর্ণ রয়েছে।
চলাচলের রাস্তায় বৈদ্যুতিক খুঁটি অযৌক্তিক। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। ছালেহা আক্তারের বাসভবনে একাধিক এনজির সংস্থা ভাড়া থাকেন। তাদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রাস্তার ওপর খুঁটি থাকার কারণে অফিসের মালামাল নিয়ে আসতে আমাদের বেগ পেতে হয়। খুঁটি সরানো না হলে আমাদের বাসা-বাড়ি বদলাতে হবে।
বহুতল ভবনের মালিক অনদর্শী বড়ুয়া বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে টাকা খরচ করে এই ট্রান্সফরমার এনেছি। প্রথমে রাস্তার দক্ষিণ পাশে খুঁটি স্থাপন করা হয়।
কৃষি অফিসের জায়গার ওপর হওয়ায় কৃষি অফিসার প্রসনজিৎ বাঁধা প্রদান করলে তা থেকে সরিয়ে বর্তমান রাস্তার ওপর ছালেহা আক্তারের ভবনের পাশে স্থাপিত হয়।
এই ব্যাপারে আমরা এলাকাবাসি চেয়ারম্যানকে অভিহিত করেছি তিনি বলেছেন, কারো যেন অসুবিধা না হয় সে দিকে খেয়াল করে কাজ করতে। এখন কতৃপক্ষ বিষয়টি দেখভাল করবেন। তবে আমার কথা হলো মানুষের বিদ্যুৎও লাগবে রাস্তাও লাগবে।
স্থানীয় এলাকাবাসি জানান, রাস্তার দু,ধারে এবং ভেতরে বহুতল ভবন রয়েছে। এই ভবনে যারা থাকেন তাদের মালামাল পিকআপে করে আনা-নেওয়া হয়। রাস্তার ওপর খুঁটি স্থাপিত হওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে।
উখিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দে বলেন, প্রতি বছর এখানে আমাদের ধর্মীয় মহৌৎসব হয়। হাজার হাজার হিন্দু ধর্মালম্বি ভক্তরা এই রাস্তা দিয়ে মহৌৎসবে আসেন।।আমি রাস্তার ওপর থেকে খুঁটি সরানোর জন্যে আহবান জানাচ্ছি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-