বিশেষ প্রতিনিধি •
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে জুয়াড়িদের প্রকাশ্য উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয়া বাজার ও আশেপাশের এলাকায় সন্ধ্যা নেমে এলেই প্রকাশ্যে কিংবা গোপন স্থানে জুয়ার আসর বসে।
সামাজিক ব্যধি হিসেবে চিহ্নিত জুয়া খেলার আসর বন্ধ করতে এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিনের কাছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে, শনিবার (২ জুলাই) রাতে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন কুতুপালং বাজার সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালের কাছে খোলা স্থানে চলা জুয়ার আসর গুড়িয়ে দিয়েছেন।
জনপ্রতিনিধির উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় কমপক্ষে ১০/১৫ জন জুয়াড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাঁচ জনকে ইউপি সদস্য আটক করলেও ভবিষ্যৎতে আর জুয়া না খেলার শর্তে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন।
হেলাল উদ্দিন বলেন, ” জুয়া খেলা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। এলাকার উঠতি বয়সি যুবক সহ শ্রমজীবী অনেকেই লোভে পড়ে জুয়া খেলায় নিজের সম্পদ হারাচ্ছে এমন অভিযোগ ছিলো। জুয়াড়িদের সতর্ক করে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছি, যেনো তারা এই পথে আর পা না বাড়ায়।”
স্থানীয় তরুণ মোহাম্মদ মিজান (২৫) জানান, এলাকায় জুয়াড়িদের কারণে সামাজিক অবক্ষয় বেড়েছে।জুয়াকে কেন্দ্র করে ঘটছে নানা অপরাধ। বিশেষ করে, আমাদের মতো উঠতি বয়সী তরুণেরা বিপথগামী হচ্ছে। ”
জুয়া রুখতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ভুমিকা অনিবার্য উল্লেখ্য করে এই তরুণ বলেন, ” ইউপি সদস্যকে ধন্যবাদ এলাকাকে জুয়া মুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়ায়। আশা করছি প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত পদক্ষেপে জুয়া হ্রাস পাবে এবং এই অপরাধে জড়িতরা সতর্ক হবে।”
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-